শেরপুরের নকলা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দিশারী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ গঠনের জন্য অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন চলছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১০ টা থেকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হচ্ছে, ভোট গ্রহন চলবে বিকেলে ৪ টা পর্যন্ত।
এলাকাবাসীকে নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহম্মদ-এঁর তরফ থেকে সকল প্রকার কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটারদের উপস্থিতি সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। লাইনে ভোটারদের উপস্থিতি যেন অন্যান্য সকল নির্বাচনকে হার মানানোর উপক্রম।
প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ-এর দেওয়া তথ্য মতে, ৪টি সাধারণ অভিভাবক প্রতিনিধি ও একটি সংরক্ষিত নারী অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে এই নির্বাচনে ৯জন পুরুষ সাধারণ অভিভাবক ও ২জন নারী অভিভাবক প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। নির্বাচননে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দান ও ভোট গ্রহনের সুবিধার্থে দুটি বুথ তৈরি করা হয়েছে এবং নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার।
উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে সাধারণ অভিভাবক সদস্য/প্রতিনিধি হিসেবে ৯ জন পুরুষ অভিভাবক এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য/প্রতিনিধি হিসেবে ২ জন মহিলা অভিভাবক প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
সাধারণ অভিভাবক সদস্য/প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন- আনোয়ার মিয়া, আফাজ উদ্দিন, আলামিন, চঞ্চল, নুর ইসলাম, মো. উসমান মিয়া, মো. জিয়ার রহমান, রবিউল ইসলাম ও সহিদ মিয়া এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য/প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন- মাজেদা খাতুন ও মুক্তা খাতুন।
শিক্ষার্থীর ৩৫৫ জন অভিভাবক তাদের মনোনিত প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রত্যেক অভিভাবক তাদের মনোনিত প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে ৪জন পুরুষ ও একজন নারী প্রার্থীকে নামের পাশে খালি ঘরে ক্রস সীলের মাধ্যমে ভোট প্রদান করছেন।
প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান অত্যান্ত শন্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহন হচ্ছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত ১৯৭ টি ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে শেষ দিকে ভোটারের চাপ বাড়তে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।