শেরপুরের নকলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অসহায় ছয়টি পরিবারের পুরো রমজান মাসের খাদ্যের দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু হামযা কনক।
প্রথম রমজানের দিন ওই ছয় পরিবার প্রধানের হাতে প্রথম ধাপের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আলু, তেল, মুড়ি, ছোলা, স্যালাইন, প্রয়োজনীয় ঔষুধ ও খেজুরসহ অনেক কিছু।
জানা গেছে, অসহায় পরিবার গুলোর সদস্যরা অনেক সময় খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতেন। এসব পরিবার গুলোর মানবেতর জীবন যাপনের বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু হামযা কনক-এর নজরে আসে। পরে তরুণ এই সমাজ সেবক তার বাবা-মায়ের অনুমতিক্রমে ব্যক্তিগত অর্থায়নে পুরো রমজান মাসের ইফতার ও সাহরী খায়ানোর দায়িত্ব নিজের কাদে তুলেনেন।
এসব সুবিধাভোগী পরিবার প্রধানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের পরিবারে উপার্জনক্ষম কোন লোক নেই। তাই তারা প্রায় দিনই খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করেন। রমজানে ইফতার ও সাহরী নিয়ে তারা বেশ চিন্তায় ছিলেন। এমতাবস্থায় তাদের মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়টি আবু হামযা কনক জানতে পেরে সহায়তার হাতনিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। সারা রমজান মাস পেট ভরে খেতে পারবেন, এটা ভাবতেই আনন্দে তাদের চোখে জল চলে আসে। আজ তারা ভেজায় খুশি।
কনক বলেন, আমি সব সময় নিজের সামর্থ অনুযায়ী সহায়তার মনোভাবে অসহায়দের পাশে থাকার চেষ্টা করি। তিনি বলেন দরিদ্র, অসহায়, প্রতিবন্ধী লোক গুলোর মুখে হাসি ফুটাতে পেরে সত্যিই আমার আনন্দ লাগতেছে। আর এই খুশি শুধু আমার একার নয়; আমিসহ সকল ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের। ছাত্রলীগের এই সুনাম ধরে রাখতে সকলের পরামর্শ মূলক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন নকলা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু হামযা কনক। বাংলাদেশে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দরিদ্র, অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের পাশে ছিলো, আছে এবং থাকবে বলে তিনি আশাব্যক্ত করেন।