শেরপুরের নকলায় হিন্দু ধর্মালম্বীদের ৩২ প্রহরব্যাপী জনপ্রিয় অনুষ্ঠান শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও অষ্টকালীন লীলা কীর্ত্তন শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানটি ১২ মার্চ রবিবার অরুণোদয় থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ১৮ মার্চ শনিবার পর্যন্ত।
বিশ্বমানবতার কল্যাণ কামনায় দেশ ও জাতির মঙ্গলার্থে নকলা উপজেলা শহরের শ্রীশ্রী কালি মাতার মন্দিরের দ্বীনহীন কৃষ্ণভক্ত ও গৌড়ভক্তবৃন্দের উদ্যোগে এই শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও অষ্টকালীন লীলা কীর্ত্তনের আয়োজন করেছে শ্রীশ্রী কালি মাতার মন্দির পরিচালনা পরিষদ।
সকল ভক্তবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতায় ৩২ প্রহর ব্যাপী এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি ১৮ মার্চ শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শেষ হবে। অনুষ্ঠান সূচি অনুযায়ী ২৭ ফাল্গুন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ১২ মার্চ ২০২৩ খ্রি. রবিবার অরুণোদয় হতে ৩ চৈত্র, ১৮ মার্চ শনিবার পর্যন্ত চলবে।
২৭ ফাল্গুন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ১২ মার্চ ২০২৩ খ্রি. রবিবার ভাগবত পাঠান্তে শুভ অধিবাস হয়। এতে পৌরাহত্য করেন ইসলামপুরের শ্রী আশোতোষ চন্দ্র গোস্বামী। ১৩ মার্চ সোমবার অরুণোদয় হতে ১৬ মার্চ পর্যন্ত শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান চলে। ১৭ মার্চ শুক্রবার শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দের অষ্টকালীন লীলা কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হবে বলে অনুষ্ঠান সূচিতে জানা গেছে। সবশেষ ৩ চৈত্র, ১৮ মার্চ শনিবার মধ্যাহ্নে রাধাগোবিন্দে ভোগ ও ভোগ আরিত, প্রসাদ বিতরণ ও দধি মঙ্গল এবং মহন্ত বিদায় অনুষ্ঠান হবে।
অনুষ্ঠান সূচি ও দাওয়াত পত্রানুযায়ী জানা গেছে, নাম সুধা পরিবেশনায় ছিলেন- সাতক্ষীরার আনন্দময়ী সম্প্রদায়, গোপালগঞ্জের অনুশ্রী সম্প্রদায়, সাতক্ষীরার কৃষ্ণবন্ধু সম্প্রদায়, পঞ্চগড়ের গিরিধারী সম্প্রদায়, নেত্রকোণার কৃষ্ণপাগল সম্প্রদায় ও শেরপুরের আদি গৌরহরি সম্প্রদায়। আর শ্রীশ্রী অষ্টকালীন লীলা কীর্ত্তন পরিবেশনায় উপস্থিত আছেন সাতক্ষীরার গোবিন্দ সরকার, ভারতের অশোক দাসী ও গাইবান্ধার দ্রুপদী রানী সরকার।
প্রতিটি প্রহরের নির্ধারিত অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্মালম্বী নারী ও পুরুষ ভক্তবৃন্দসহ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নকলা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ, শ্রীশ্রী কালি মাতার মন্দির পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।