শেরপুরের নকলায় ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের মাঝে ভিডব্লিউবি কার্ড ও চাল বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় এনে তাদের মাঝে প্রতি মাসে ৩০ কেজি হারে দুই মাসের ৬০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়।
এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০ টায় পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ কর্মসূচির চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এর আগে কর্মসূচির সুবিধাভোগী পাঠাকাটা ইউনিয়নের অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত ২৬৪ জন নারীকে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির কার্ড প্রদান করা হয়। পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এসময় ইউপি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মতিউর রহমান, কৈয়াকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আসমা আক্তার, ছালেহা বেগম ও সুলতানা আক্তার সম্পা, সাধারন ইউপি সদস্য রুবেল উদ্দিন, আনারুল ইসলাম, আদম শফিক, হামিদুল ইসলাম, বাজু মিয়া, মাফিজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম বাবু, ওবায়দুল হক ও আমজাদ আলী , ব্যাংক এশিয়ার পাঠাকাটা ইউপির এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার এজেন্ট ও ইউনিয়ন উদ্যোক্তা মো. সেলিম রেজা, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ভিডব্লিউবি কর্মসূচির সুবিধভোগী অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত দুইশতাধিক নারী ও গ্রাম পুলিশগন উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুস ছালাম জানান, বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে সুষ্ঠভাবে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের এই মহতী কার্যক্রমকে সফলতার সহিত সম্পন্ন করতে শক্তিসালী পরিদর্শনকারী টিম রয়েছে। প্রশাসন ছাড়াও এই কাজের সাথে মনিটরিং কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন। এ কাজে সরাসরি নিয়োজিত আছেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। স্বচ্ছতা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের ট্যাগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো জানান, সরকার জীবনচক্র ভিত্তিক কাঠামোর আওতায় অসচ্ছল মহিলাদের (বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত, অসচ্ছল মহিলা) উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আনার জন্য এ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। “স্বনির্ভরতার জন্য সহায়তা” মূলনীতি অনুসরণ করে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার আলোকে স্থায়ীভাবে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা প্রদান ইত্যাদি উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। উপকারভোগীগণ সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রতি মাসে নিজ একাউন্টে ২০০ টাকা সঞ্চয় জমা করে থাকে, যা ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রারম্ভিক মূলধন গঠন হিসেবে কাজ করে। যা নারীদের আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে ভূমিকা রাখবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলকি মেয়াদে উপজেলার গনপদ্দী ইউনিয়নের ২৯৩ জন, নকলা ইউনিয়নের ২২৩ জন, উরফা ইউনিয়নের ২৭১ জন, গৌড়দ্বার ইউনিয়নের ১৪১ জন, বানেশ্বরদী ইউনিয়নের ২০৫ জন, পাঠাকাটা ইউনিয়নের ২৬৪ জন, টালকী ইউনিয়নের ২০৭ জন, চরঅষ্টধর ইউনিয়নের ২৬৬ জন ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের ২৯৯ জন অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।