শেরপুরের নকলায় শেরপুর সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)-তে নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) টিটিসির মিলনায়তনে বিদেশ গমনেচ্ছুক যুবক-যুবনারীর অংশ গ্রহনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)-এর অধ্যক্ষ মির্জা ফিরোজ হাসান-এঁর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ।
শেরপুর টিটিসি’র ইন্সট্রাক্টর সাজু মিয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চিফ ইন্সট্রাক্টর এস.এম আজহার। ‘থাকব ভালো, রাখব ভালো দেশ; বৈধ পথে প্রবাসী আয়, গড়ব বাংলাদেশ’-এই শ্লোগানকে ধারন করে সেমিনারে বিদেশ গমনে করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইউএনও বুলবুল আহমেদ তাঁর বক্তব্যে শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)’র কার্যক্রমের ভূয়শী প্রশংসা করেন। শিক্ষিত ও স্বল্প শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুবনারীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরী করে দেশে বেকারত্ব নিরসনের লক্ষ্যে বিনামূল্যে কারিগরি প্রশিক্ষন প্রদানে এই টিটিস অতুলনীয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। দেশে বৈদেশিক রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে ও দক্ষ-প্রশিক্ষিত জনসম্পদ গড়ে তুলার ক্ষেত্রে শেরপুর টিটিসি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে বলে তিনি মনে করেন। বিদেশ গমনেচ্ছুক যুবক-যুবনারীদের শেরপুর টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এবং এই টিটিসির কর্তৃপক্ষের কাছে জেনে বুঝে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদেশে গিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সর্বদায় সচল রাখতে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণের অনুরোধ জানান তিনি।
এসময় জেলার শেরপুর সদর উপজেলাসহ নকলা, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার বিদেশ গমনেচ্ছুক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৭৮ জন যুবক-যুবনারীসহ ইনস্ট্রাক্টর রবিউল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন, নিরমল বাশার, এ.কে.এম শাহজাহান, তমাল চন্দ্র স্যানাল, আরিফুর রহমান, আব্দুল হাই, হেলাল উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, আনিসুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, মাসুদ, ফিরোজ, খোকন, হান্নান, মুক্তার, বাবুল শেখ ও জাহানুরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)-এর অধ্যক্ষ মির্জা ফিরোজ হাসান জানান, এ টিটিসিতে ৮ ট্রেডে ১২ টি কোর্স প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কম্পিউটার অপারেশন, ওয়েল্ডিং এন্ড ফেব্রিকেশন, মেশিন টুলস অপারেশন, সিভিল কন্সট্রাকশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সুইং মেশিন অপারেশন/গার্মেন্টস, ইলেকট্রিক্যাল হাউজওয়ারিং, ড্রাইভিং অটোমেকানিক্স মটরড্রাইভিং ও কনজুমার ইলেট্রনিক্স কোর্স চলমান আছে। ২০২২ সালে ৩ হাজার ৭৫০ জন যুবক ও যুবনারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৭৫ জনের বিদেশে এবং ১৩৫ জনের দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়া টিটিসির আওতায় প্রায় ৬ হাজার জন বিদেশে গমনের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়েছে।