রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন

নকলায় বিদেশি ১৭ জাতের বীজআলুর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে

এম.এম হোসাইন:
  • প্রকাশের সময় | সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩
  • ১৭১ বার পঠিত

শেরপুরের নকলায় চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর আওতায় রোপনকৃত উচ্চ ফলনশীল এবং শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও বিদেশে রপ্তানী যোগ্য উচ্চ ফলনশীল ১৭টি জাতের বীজ গোলআলুর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৬ মার্চ) বিএডিসি হিমাগার নকলার বাস্তবায়নে এবং বিএডিসি’র মানসম্পন্ন বীজআলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী গ্রামের বিএডিসি’র চুক্তিবদ্ধ কৃষক মো. শামসুজ্জামান জুয়েলের বাড়ির আঙ্গীনায় ২০২২-২৩ উৎপাদন মৌসুমে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও মাল্টি লোকেশন পারফরমেন্স যাচাইয়ের এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

বিএডিসি নকলা হিমাগারের উপপরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএডিসি’র প্রকল্প পরিচালক (মাবীউকৃবিপ্র) কৃষিবিদ আবীর হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ সাইফুল আজম খান, বিএডিসি ঢাকা’র উপপরিচালক (মান নিয়ন্ত্রণ) কৃষিবিদ এএসএম খায়রুল হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুলতান আহম্মেদ।

বিএডিসি হিমাগার নকলার উপসহকারী পরিচালক (টিসি) মো. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বানেশ্বরদী ইউপির চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম, কৃষক শামসুজ্জামান জুয়েলসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শাহিন রানা, নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিগন, উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন, বিএডিসি’র চুক্তিবদ্ধ কৃষকগনসহ স্থানীয় কৃষক-কৃষাণীগন উপস্থিত ছিলেন।

বিএডিসি হিমাগার নকলা অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, বিএডিসি হিমাগার নকলার বাস্তবায়নে ২০২২-২৩ উৎপাদন মৌসুমে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও মাল্টি লোকেশন পারফরমেন্স যাচাইয়ের জন্য উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী গ্রামের কৃষক মো. শামসুজ্জামান জুয়েলের জমিতে প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে বীজ উৎপাদনের জন্য ১৭টি উচ্চ ফলমশীল বিদেশী উন্নত জাতের বীজআলু চাষ করা হয়েছিল।

উচ্চ ফলনশীল এবং শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও রপ্তানী যোগ্য জাতগুলো হলো- ক্যারোলাস (হেক্টর প্রতি ফলন ৩০.৮৭ মে.টন), ল্যাবেলা (হেক্টর প্রতি ফলন ৩৬.১৯ মে.টন), সান্তানা (হেক্টর প্রতি ফলন ৩৩.২৯ মে.টন), ৭ ফোর ৭ (হেক্টর প্রতি ফলন ৩৬.৩৪ মে.টন), বারি-৪১ (হেক্টর প্রতি ফলন ৩৩.৭১ মে.টন), বারি-৬২ (হেক্টর প্রতি ফলন ৩১.২০ মে.টন), রশিদা (হেক্টর প্রতি ফলন ৩৫.৬০ মে.টন), এলুইটি (হেক্টর প্রতি ফলন ৩২.৯২ মে.টন), এডিসন (হেক্টর প্রতি ফলন ৩৩.০৮ মে.টন), বারি-৭৯ (হেক্টর প্রতি ফলন ৩২.৫৫ মে.টন), সানসাইন (হেক্টর প্রতি ফলন ৪০.২২ মে.টন), ফন্টেইন (হেক্টর প্রতি ফলন ৩১.২৯ মে.টন), বারি-৪০ (হেক্টর প্রতি ফলন ৩০.৭৭ মে.টন),কুইন এ্যানি (হেক্টর প্রতি ফলন ৩০.৩৫ মে.টন), এস্টারিক্স (হেক্টর প্রতি ফলন ৩২.৫৫ মে.টন), অ্যালকেন্ডার (হেক্টর প্রতি ফলন ২৮.৬৭ মে.টন) ও ডায়মন্ড (হেক্টর প্রতি ফলন ৩২.১২ মে.টন)।

উৎপাদিত ফলনের ভিত্তিতে ২৫% বাদে সর্বোচ্চ ফলন পাওয়া গেছে সানসাইন (হেক্টর প্রতি ফলন ৪০.২২ মে.টন) এবং সর্বনিম্ন ফলন হয়েছে অ্যালকেন্ডার (হেক্টর প্রতি ফলন ২৮.৬৭ মে.টন)। আলোর ফলন, রং ও দাম, ক্রেতাদের আগ্রহ বিবেচনায় চাষীদের আগ্রহ এখন সানসাইন আলোর দিকে। আগামী থেকে উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় সানসাইন, সান্তানা, এলুইটি, বারি আলু-৭৯ ও বারি আলু-৪১ জাতের আলু চাষের দিকে কৃষকরা ঝুঁকবেন বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগন।

বিএডিসি-এর কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এ অঞ্চলের মাটি আলু চাষের অনুকুলে হওয়ায় বিএডিসি’র বীজআলু উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। বিএডিসি-এর বিভিন্ন স্তরের কৃষি কর্মকর্তা ও বিএডিসির স্থানীয় চুক্তিবদ্ধ আলু চাষীরা আশা করছেন আগামীতে এ অঞ্চলে আলুর আবাদ কয়েকগুণ বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।