শেরপুরের নকলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর আওতায় রোপনকৃত বীজআলুর নমুনা ফসল কর্তন করা হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী গ্রামের বিএডিসি’র চুক্তিবদ্ধ কৃষক মো. শামসুজ্জামান জুয়েলের বীজআলু মাঠে বপন করা উচ্চ ফলনশীল এবং শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও বিদেশে রপ্তানী যোগ্য ১৭টি জাতের বীজআলুর নমুনা ফসল কর্তন করা হয়।
এসময় বিএডিসি’র প্রকল্প পরিচালক (মাবীউকৃবিপ্র) কৃষিবিদ আবীর হোসেন, শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ সাইফুল আজম খান, বিএডিসি ঢাকা’র উপপরিচালক (মান নিয়ন্ত্রণ) কৃষিবিদ এএসএম খায়রুল হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুলতান আহম্মেদ, বিএডিসি নকলা হিমাগারের উপপরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ মো. শহীদুল ইসলাম, উপসহকারী পরিচালক (টিসি) মো. মিজানুর রহমান, বানেশ্বরদী ইউপির চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শাহিন রানা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম, বানেশ্বরদীর কৃষক শামসুজ্জামান জুয়েল ও পোলাদেশীর কৃষক হাকলিজুর রহমান, নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিগন, উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন, বিএডিসি’র চুক্তিবদ্ধ কৃষকগনসহ স্থানীয় কৃষক-কৃষাণীগন উপস্থিত ছিলেন।
বিএডিসি হিমাগার নকলা অফিসের তথ্যমতে, বিএডিসি হিমাগার নকলার বাস্তবায়নে ২০২২-২৩ উৎপাদন মৌসুমে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও মাল্টি লোকেশন পারফরমেন্স যাচাইয়ের জন্য উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী গ্রামের কৃষক মো. শামসুজ্জামান জুয়েলের জমিতে প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে বীজ উৎপাদনের জন্য ১৭টি উচ্চ ফলমশীল বিদেশী উন্নত জাতের বীজআলু চাষ করা হয়েছিল।
এসব জাতের মধ্যে- ক্যারোলাস প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩০.৮৭ মে.টন, ল্যাবেলা প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩৬.১৯ মে.টন, সান্তানা প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩৩.২৯ মে.টন, ৭ ফোর ৭ প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩৬.৩৪ মে.টন, বারি-৪১ প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩৩.৭১ মে.টন, বারি-৬২ প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩১.২০ মে.টন, রশিদা প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩৫.৬০ মে.টন, এলুইটি প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩২.৯২ মে.টন, এডিসন প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩৩.০৮ মে.টন, বারি-৭৯ প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩২.৫৫ মে.টন, সানসাইন প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৪০.২২ মে.টন, ফন্টেইন প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩১.২৯ মে.টন, বারি-৪০ প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩০.৭৭ মে.টন, কুইন এ্যানি প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩০.৩৫ মে.টন, এস্টারিক্স প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩২.৫৫ মে.টন, অ্যালকেন্ডার প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ২৮.৬৭ মে.টন ও ডায়মন্ড প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছ ৩২.১২ মে.টন হারে।
উৎপাদিত ফলনের ২৫% বাদে সর্বোচ্চ ফলন পাওয়া গেছে সানসাইন (হেক্টর প্রতি ফলন ৪০.২২ মে.টন) এবং সর্বনিম্ন ফলন হয়েছে অ্যালকেন্ডার (হেক্টর প্রতি ফলন ২৮.৬৭ মে.টন)। আলোর ফলন, রং, দাম ও ক্রেতাদের আগ্রহ বিবেচনায় চাষীদের নজর এখন সানসাইন আলোর দিকে।