আজ ৪ মার্চ ‘টাকা দিবস’। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অর্থাৎ ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ব্যাংক নোটবিষয়ক তথ্য ও গবেষণাধর্মী পত্রিকা ‘কালেক্টার’-এর পক্ষ থেকে দিনটি উদযাপন করা হয়। আর সেটিই ছিলো প্রথমবারের মতো ‘টাকা দিবস’ উদযাপন।
টাকা ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোই ছিলো এ উদ্যোগের লক্ষ্য। টাকাকে কেন্দ্র করেই দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। তবে টাকা যত্নের সঙ্গে ব্যবহারে আমরা ততটা সচেতন নই। যার ফলে ব্যাংক নোট দ্রুত পুরোনো হয়ে যায় এবং স্থায়িত্ব যায় কমে। এ তথ্য মতে, আজ ৪ মার্চ, শনিবার বিভিন্ন স্থানে তৃতীয় টাকা দিবস উদযাপন হতে পারে।
‘কালেক্টার’ পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য হলো- ৪ মার্চ ১৯৭২ তারিখে প্রকাশিত দুটি ব্যাংক নোট ভারতের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে ছাপানো হয়। ১ টাকার নকশায় বাংলাদেশের মানচিত্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ কথাটি স্থান পায় এবং তাতে স্বাক্ষর করেছিলেন সে সময়ের অর্থসচিব কে এ জামান। অন্যদিকে ১০০ টাকার নকশায় দেখা যায় বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং তাতে লেখা থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১০০ টাকার ব্যাংক নোটটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর এ.এন হামিদ উল্ল্যাহ্-এঁর স্বাক্ষরিত।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকাখচিত বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন দেশ স্থান করে নেয়। একটি স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্বের অন্যতম প্রতীক হলো নিজস্ব মুদ্রা। আর তাই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রচলন করে নিজস্ব ব্যাংক নোট। ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলাদেশের নিজস্ব ১ ও ১০০ টাকার ব্যাংক নোটের প্রচলন হয়। ফলে ২০২৩ সাল বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যাংক নোট প্রচলনের ৫২ বছরে পা রাখলো।
তার আগে এ দেশে পাকিস্তানের ব্যাংক নোট প্রচলিত ছিল এবং মুদ্রার নাম ছিল রুপি। স্বাধীন বাংলাদেশের মুদ্রার নাম রাখা হয় টাকা। বিশ্বের কয়েকটি দেশের মুদ্রার নাম একই ধরনের। তবে বাংলাদেশের মুদ্রা হিসেবে টাকা নামটি স্বতন্ত্র। শুভ হোক ‘টাকা দিবস’; টাকা ব্যবহারে সচেতন হোক সবাই।