তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় শেরপুরের নকলায় বিশেষ দোয়া করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শোক পালনের পাশাপাশি বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মাদ্রাসার সুপার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সার্বিক দিক নিদের্শনায় দোয়া পরিচালনা করেন সহকারী সহকারী মৌলভী (ভারপ্রাপ্ত সহকারী সুপার) মাওলানা মো. ফজলুল করিম।
এসময় বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ নকলা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সহকারী শিক্ষক মো. মোশারফ হোসাইন, সহকারী শিক্ষক মোসাম্মৎ রোকেয়া আক্তার, নুসরাত জাহান, শওকত আলী, মোস্তাফিজুর রহমান খান, জামাল উদ্দিন, সহকারী মৌলভী ফুলেছা খাতুন, সহকারী শিক্ষক তাহেরা সুলতানা, ইয়াছিন আহাম্মেদ, আমিন মিয়া, আরিফ হোসেন, লাবনী বেগম ও উজ্জল মিয়াসহ মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের নুরগাদি শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার পূর্বে এবং ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে ইস্ট আনাতোলিয়া ফল্টে। ফল্ট বলতে মাটির নীচে পাথর ও অন্যান্য খনিজের বিশালাকৃতির (শত বা হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ) খণ্ড গুলোকে বোঝায়। অনমনীয় এই প্লেটগুলো চলমান অবস্থায় থাকে।
ভূকম্পনবিদরা বলছেন, গত এক দশকের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে তুরস্কের আনাতোলিয়া থেকে আরব ভূখণ্ড পর্যন্ত মাটির গভীরে ১০০ কিলোমিটারের (৬২ মাইল) মতো দীর্ঘ ফাটল তৈরি হয়েছে।
এ ভূমিকম্পে তুরস্কের ও সিরিয়ার এই দুই দেশে মৃতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ৯ হাজার ছাড়িয়েছে এবং ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হওয়ার খবর দেশি-বিদেশী বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।