শেরপুরের নকলায় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস)-এর নকলা উপজেলা শাখার আয়োজনে জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার নকলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাপুস’এর নকলা উপজেলা শাখার সভাপতি, ইকরা বুক হাউজের সত্বাধিকারী, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ নকলা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এফ.এম ওবায়দুল হকের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বাপুস’এর নকলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নকলা বাজারস্থ ঈশান এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী রবিউল করিম, নিউ বুক হাউজের সত্বাধিকারী আল আমিন, মাদ্রাসা লাইব্রেরীর সত্বাধিকারী আলহাজ্ব আব্দুল খালেকের প্রতিনিধি (ছেলে) জুবায়ের হোসেন, সুয়েব লাইব্রেরীর সত্বাধিকারী বেনজির আহম্মেদ, নারয়নখোলা বাজারস্থ ছাত্রবন্ধু লাইব্রেরীর সত্বাধিকারী চঞ্চয়, জুয়েল লাইব্রেরীর সত্বাধিকারী মশিউর রহমান ও বিনিময় লাইব্রেরীর সত্বাধিকারী আবু বক্কর বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা কাগজের মূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে হুমকির মুখে থাকা পুস্তক প্রকাশনা এবং কাগজের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য শিল্প সমূহকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান। কাগজের মূল্যবৃদ্ধি রোধ এবং সিন্ডিকেট থেকে প্রকাশনা শিল্পকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, কাগজের উচ্চমূল্যের কারণে কাগজ সংশ্লিষ্ট মুদ্রণ, পত্র-পত্রিকা, পড়ালেখা, সৃজনশীল ও মননশীল সাহিত্য রচনা, নতুন লেখক সৃষ্টি এবং প্রকাশনা শিল্পের ছাপা ও অন্যান্য শাখা মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। এছাড়া নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েদের পড়া লেখা চালিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়বে বলে তারা মনে করেন। পাশাপাশি কাগজে ছাপা বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যাবে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। আর সেটা ঘটলে আমাদের মেধাগত ও সৃষ্টিশীল উন্নয়ন ব্যহত হবে। ফলে বাহ্যিক উন্নয়ন অনেকাংশই অর্থহীন হয়ে পড়বে, যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি হবে ভয়ানক। তাই দ্রুততম সময়ে বিদেশ থেকে কাগজ আমদানিকে ভ্যাটমুক্ত ঘোষণা করারা পাশাপাশি দেশের সব ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কাগজকে রিসাইকেলিং কাজে ব্যবহার করার ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখা, কাগজের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরি। শুল্ক হ্রাস করা ছাড়াও সরকারকে কাগজ শিল্পে যথেষ্ট ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ জানান বক্তারা।
এসময় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস)-এর নকলা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য সদস্যগন ও উপজেলার বিভিন্ন লাইব্রেরীর মালিক/ সত্বাধিকারীগন উপস্থিত ছিলেন।