সারা দেশের ন্যায় শেরপুরের নকলায় জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০২৩ প্রথম রাউন্ড (২২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত) উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃক নকলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহম্মেদ-এঁর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন এক শিশুকে নিজ হাতে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাইয়ে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, যুগ্ম সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নকলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার প্রমুখ।
এসময় নকলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামানসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, নকলা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন গনমাধ্যমে কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকগন, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবকগন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রথম রাউন্ডে ৫ বছর থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের ২২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় কৃমি নাশক ঔষুধ (মেবেন্ডাজল ট্যাবলেট ৫০০ মি.গ্রা.) খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ২৪৮ টি প্রাথমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মকতব ও কিন্ডারগার্টেনের ৫ বছর থেকে ১১ বছর বয়সী ৩৬ হাজার ২৮০ জন শিশুকে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬১ টি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ১২ বছর থেকে ১৬ বছর বয়সী ২৪ হাজার ৩০২ জন কিশোর-কিশোরিদের একটি করে কৃমিনাশক মেবেন্ডাজল ট্যাবলেট খাওয়ানোর জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, কৃমি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি পরজীবি। কৃমি শিশু-কিশোরদের পুষ্টিহীন করে, তাদের শারীরিক, মানসিক ও মেধা বিকাশে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই কৃমি নিয়ন্ত্রণে কিছু করনীয় বিষয় মেনে চলা জরুরি। তিনি জানান, কৃমি নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিকভাবে করনীয় বিষয় গুলো হলো- প্রতি ৬ মাস পর পর পরিবারের সকলে একসাথে কৃমিনাশক ঔষুধ সেবন করা, স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট ব্যবহার করা, টয়লেট থেকে ফিরে সাবান দিয়ে ভালো ভাবে হাত পরিষ্কার করা, নিয়মিত নখ কাটা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে খাবার গ্রহন করাসহ অধিকতর স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া আবশ্যক।