শেরপুরের নকলায় ১১টি কবর খুঁড়ে চুরি হওয়া লাশের সংখ্যা নিয়ে জনমনে বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে উপজেলার নকলা পৌরসভাধীন কায়দা বাজারদী সার্বজনীন গোরস্থানের ১১টি খবর খুঁড়ার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে কঙ্কাল চোরচক্রের সদস্যরা রাতের আধারে এসব কবর খুঁড়ে। এনিয়ে সদ্য প্রয়াত লোকের কবর থেকে লাশ চুরি হওয়ার আশঙ্কায় চিন্তিত অনেকে।
শনিবার (২১ জানুয়ারী) ফজর নামাজ শেষে বরাবরের মতো অনেক মুসল্লি তাদের নিহত স্বজনের কবর জিয়ারত করার উদ্দেশ্যে গেলে কবর খুঁড়ার বিষয়টি তাদের নজরে পড়ে। পরে জানাজানি হলে এলাকার লোকজন তাদের স্বজনের কবর দেখতে গোরস্থানে ভিড় জমায়।
কায়দা বাজারদী সার্বজনীন গোরস্থান ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নকলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, নকলা-চন্দ্রকোনা পাকা রাস্তা সংলগ্ন কায়দা বাজারদী গোরস্থানের ১১টি কবর খুঁড়ে লাশ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গোরস্থান ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ আলম মঞ্জু জানান, ১১টি কবর খুঁড়লেও লাশ মূলত চুরি হয়েছে ৫টি।
এদিকে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কঙ্কাল চুরেরা কায়দা বাজারদী গোরস্থানের ১১টি কবর খুঁড়লেও কোন লাশ চুরির ঘটনা ঘটেনি। চোরচক্র প্রতিটি কবর খুঁড়ে কঙ্কাল আছে কি-না তা দেখেছে মাত্র, তারা কঙ্কাল নাপেয়ে চলেগেছে বলে ওসি রিয়াদ মাহমুদ ধারনা করছেন।
গোরস্থান ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, এক অন্যতম সদস্য ও নকলা থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদের দেওয়া তথ্যমতে জনমনে কবর খুঁড়ে চুরি হওয়া লাশের সংখ্যা নিয়ে জনমনে বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবসীর অনেকে জানান, গোরস্থানটি ব্যস্ততম নকলা-চন্দ্রকোনা পাকা রাস্তার সাথে হওয়া সত্বেও এখান থেকে লাশ চুরি হয়ে যাওয়া খুবই দূরদর্শীতার ব্যাপার। যে বা যারা এমন গুরুত্বপূর্ণ কবরস্থানের কবর খুঁড়েতে পেরেছে বা কবর থেকে কঙ্কাল চুরি করতে পেরেছে, তারা অবশ্যই দূরদর্শ চোরচক্র। এ চোরচক্রকের সদস্যদের খোঁজে বেরকরে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান এলাকাবাসীর অনেকে।
এদিকে লাশ চুরি হওয়ার পরে শনিবার দুপুর থেকে কায়দা বাজারদী সার্বজনীন গোরস্থানে পর্যাপ্ত আলোর জন্য গোরস্থানের ভিতরে ও বহিরে বৈদ্যুতিক লাইট লাগানোর কাজ শুরু করেছেন গোরস্থান ব্যবস্থাপনা কমিটি।