শেরপুরের নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দালালমুক্ত রাখতে ঐকমত্য হয়েছেন উপজেলা ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এউপলক্ষ্যে রবিবার (১ জানুয়ারি) নকলা হাসপাতাল রোডের কেয়ার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মিলনায়তনে উপজেলা ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি ও নিরাময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সত্বাধিকারী আব্দুর রশিদ সরকার-এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ডা. মোসলেম উদ্দিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সত্বাধিকারী মো. মহিউদ্দিন সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও আধুনিক প্যাথলজিক্যাল এন্ড ল্যাব এর সত্বাধিকারী মো. আক্রাম হোসেন, অর্থ সম্পাদক ও কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সত্বাধিকারী মোতাছিম বিল্লাহ, মেসার্স নকলা মেডিকেল হল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সত্বাধিকারী সোহেল রানা, মাহদি ডিজিটাল রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রতিনিধি মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট আবু কাউছার বিদ্যুৎ, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (ঝঅঈগঙ) মানিক মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, সারোয়ার জাহান ও এখলাছ উদ্দিন, প্রমুখ।
সংগঠনটির সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার বলেন, এখন নকলার জনগনকে তাদের রোগ নির্ণয়ে সময়, শ্রম ও টাকা খরচ করে রাজধানী ঢাকা, বিভাগ ময়মনসিংহ ও জেলা শেরপুরে যেতে হচ্ছে না। আমরা নকলাবাসীকে অল্প ব্যয়ে সর্বোচ্চ মানের সেবা দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং সফল হচ্ছি। এর পরেও অজ্ঞাত কারনে হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ব কমছে না। সাধারণ সম্পাদক সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, আমাদের সংগঠনের সুনাম রক্ষায় আমরা সদা তৎপর আছি এবং থাকবো। বিশেষ করে জনসেবার মনমানোসিকতা নিয়ে অসহায়, দরিদ্রদের পাশে থেকে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার সুনাম রক্ষায় নিজেদেরকে সর্বদায় নিয়োজিত রাখার প্রত্যয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলছি।
অন্যান্য বক্তারা জানান, নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার মান আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। তাই উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে সাধারণ জনগন চিকিৎসা নিতে নকলায় আসেন। কিন্তু হাসপাতালে অবাদ বিচরণকারী কথিত দালালরা চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ জনগকে ভুল বুঝিয়ে নকলা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নারাজি বা বিমুখ করে তুলেন। রোগী বা রোগীর লোকজন দিশেহার হয়ে অবশেষে তারা অনেকটা হতাশ হয়েই হাসপাতালের বাহিরে চিকিৎসা নিতে চলে যান। এই সুযোগে দালালরা রোগী বা রোগীর স্বজনদের বিভিন্ন প্ররোচনা দিয়ে তাদের পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বা ক্লিনিকে নিয়ে উচ্চ মূল্যের পরীক্ষা করানোসহ ব্যয়বহুল চিকিৎসা দিয়ে থাকেন; যা একান্ত জরুরি নয়। ফলে নিরিহ সাধারণ জনগনের মধ্যে নকলা সরকারি হাসপাতালের প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হচ্ছে। এটা নিঃসন্দেহে নকলাবাসীর জন্য দু:খ জনক বিষয়। তাই খুবদ্রুত সময়ের মধ্যে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দালালমুক্ত করতে (বিশেষ করে নারী দালাল মুক্ত করতে) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। আলোচনার সভার পরে সিদ্ধান্ত সমূহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখিত আকারে প্রেরন করবেন বলেও সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জনান।
এসময় উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (ঝঅঈগঙ) ফরহাদ হোসেন, রাশেদুল কবির, ও শাহানাজ বেগম, ফার্মাসিষ্ট মোশাররফ হোসেন, দি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি হাফছাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।