শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নকলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১ নকলায় পারিবারিক পুষ্টি বাগানের জন্য বীজ সার ও গাছের চারাসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ জামাত বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারনে সারাদেশে যখন কার্ফিও বিরাজমান, নকলার জনগন তখনো যেন মায়ের কোলে জরুরি ভিত্তিতে নকলা থানায় আবাসিক ভবন দরকার নকলায় বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার দাবিতে ও শিক্ষার্থীর ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন নকলায় উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচির টিউবওয়েল বিতরণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শ্লোগানের প্রতিবাদে নকলায় মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন এবার শেরপুরকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে ইত্যাদি অনুষ্ঠান : সকল কাজ প্রায় শেষ বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় নকলায় “মাদককে না বলুন” কর্মসূচি বাস্তবায়নে শপথ গ্রহণ

‘আমার এত টাহা নাই, পুলারেও রিক্সাআলা বানামু’, টাকার বিনিময়ে বিনামূল্যের বই বিতরনের অভিযোগ

ইমরান হাসান রাব্বী, শেরপুর:
  • প্রকাশের সময় | সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৩ বার পঠিত

উৎসবমুখর পরিবেশে সারা দেশের মতো শেরপুরেও রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বই উৎসব। শহরের বিভিন্ন স্কুলে আনুষ্ঠানিকভাবে বই উৎসব উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে শেরপুরে টাকা ছাড়া মাধ্যমিকের বই না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভারেরা ছমিরুদ্দীন পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রতি শ্রেণিতে ভর্তি ফি দেয়ার পরেও নতুন বইয়ের জন্য বাড়তি পাঁচশো টাকা নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে বই উৎসবে টাকার বিনিময়ে বই দেয়ার কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

পনেরো লাখ বইয়ের ঘাটতি নিয়েই জেলার সব স্কুলে বই বিতরণ হলেও ভিন্ন চিত্র জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভারেরা ছমিরুদ্দীন পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে। টাকা না দেয়ায় বই না পেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একটি ভিডিও রবিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপর চড়াও হয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, ভর্তি ও সেশন চার্জের টাকা দেয়ার পরেও বাড়তি পাঁচশো টাকা নেয়া হচ্ছে। টাকা না দিতে পারায় বই ছাড়াই ফিরে যেতে হয়েছে অনেককে।

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী অপু বলেন, তিনশো টাকা নিয়ে স্কুলে আসছিলাম কালকে, স্যাররা বই দেন নাই। বলছে, পাঁচশো টাকা না দিলে বই দিবে না। আরেক শিক্ষার্থী সিয়াম বলেন, আব্বা বাড়ি থিকে টাকা দেয় নাই। আমি স্কুলে টাকা দিতে পারি নাই। এজন্য আমাকে বইও দেয় নাই। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোনিয়া বলেন, আমি ভর্তি ফি আর সেশনের টাকাসহ সাতশো টাকা দিছি। কালকে বই নেয়ার সময় আরো পাঁচশো টাকা চাইছে। পরে বই ছাড়াই বাড়ীতে গেছিগা।

অভিভাবক নজরুল মিয়া বলেন, আমি অটো রিক্সা চালাই। আমার দুই মেয়ে এই স্কুলে পড়ে। একটা সেভেনে, আরেকটা নাইনে। দুইজনের জন্য ভর্তির টাকা দিয়ে সব করে গেছি। তাও কালকে বই দেয় নাই। দুইজনের বইয়ের জন্য পাঁচশো টাকা করে চাইছে। এই টাকা দেয়ার সামর্থ্য আমার নাই৷ আরেক অভিভাবক সুজন মিয়া বলেন, গ্রামের স্কুলের এক ছাত্রের জন্যই যদি আমার পনেরশো টাকা দেয়া লাগে, তাইলে আর পড়াশোনার দরকার নাই৷ আমার পুলাও রিক্সা চালাইয়া খাবোনি। ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য রুবেল মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীরা বই না পেয়ে ফিরে যাওয়ার বিষয়টা দুঃখজনক। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্যও কোন ছাড় দেয়া হয়নি স্কুলের পক্ষ থেকে।

তবে এই ঘটনাকে সাজানো ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবী করেছেন প্রধান শিক্ষিকা কামরুন্নাহার। তিনি বলেন, একটা মহল স্কুলের দুর্নাম রটানোর চেষ্টা করছে। আমরা ভর্তি ফি আর সেশন চার্জের বাইরে এক টাকাও নিই না৷

এদিকে ভিডিও ভাইরালের পর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান। তিনি বলেন, বিনামূল্যে বই দেয়ার সাথে টাকা নেয়ার সম্পর্ক নেই। কোন পাওনা থাকলে তারা বই উৎসবের আগে বা পরে নিবে। যে অভিযোগ এসেছে, আমরা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।

জেলার ৭৪২টি সরকারি প্রাথমিক ও ১৮১টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই উৎসবে মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা। গতকাল থেকেই বিভিন্ন বিদ্যালয়ে টাকার বিনিময়ে বই দেয়ার অভিযোগ আসতে শুরু করে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।