শেরপুরে ট্রাকযুগে গরুচুরি করার ঘটনা ঘটেছে। গরুচুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে আছে কৃষকরা। অনেক কৃষক গরু পাহাড়া দিতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর টাঙ্গারিয়া পাড়ার ক্ষুদ্র খামারী কৃষক নাজির হোসেনের অস্ট্রেলিয়ান জাতের ২টি গাভীসহ ৪টি গরু ১১ ডিসেম্বর ভোর রাতে চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। গরুগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন কৃষক নাজির হোসেন। খামারের সব গরু চুরি হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষুদ্র খামারী কৃষক নাজির হোসেন। তার এখন মাথায় হাত!
নাজির হোসেন জানান, তিনি রাত তিনটা পর্যন্ত তার গোয়াল ঘরে গরু পাহাড়া দিয়ে শয়ন ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েন। এর পরপরই তার গরুগুলো চুরি হয়ে যায়।
চরশেরপুর নাজিরাগাড়ায় একটি সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় ভোর তিনটা সাইত্রিশ মিনিটের সময় চোরেরা নীল রঙের একটি ট্রাকে করে গরুগুলি নিয়ে যায়। এসময় একটি মোটরসাইকেলে তিনজন লোককেও যেতে দেখা যায়। স্থানীয়রা ধারনা করছেন মোটরসাইকেলে যাওয়া ওই লোক গুলোই প্রকৃত গরু চুর।
নাজির হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি বলেন, এর আগেও সদর উপজেলার ধাতিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক সমেজ উদ্দিনের ৬ টি গরু একই কায়দায় চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ছয় লক্ষ টাকা। এতে কৃষক সমেজ উদ্দিন পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও তিনি জানান।
চরশেরপুর ইউনিয়নের বালুরঘাট এলাকার কৃষক জুলফিক্কার আলী জানান, তার মতো অনেক কৃষক পরিবারের সদস্যরা পালাক্রমে গরু পাহাড়া দেন। একজন সজাগ থেকে গরু পাহাড়া দেন, আর অন্যরা ঘুমান। এমতাবস্থায় ক্ষুদ্র খামারীসহ কৃষকরা গরু চোরদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা গরু চুরির ঘটনাটি জানার পরে, তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই চোরদের চিহৃত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি কৃষকদের জানিয়েছেন।