শেরপুরের নকলায় স্ত্রী শাহানাজ বেগমকে হত্যার ১২ ঘন্টার মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত স্বামী রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে ঘাতক স্বামী রাসেলকে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ।
দ্রুত সময়ের মধ্যে তথা ১২ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীকে গ্রেফতার করায় প্রসংশায় ভাসছে পুলিশ বিভাগ। শাহানাজ হত্যার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃত রাসেল মিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাছাড়া নিহতের মেয়ে মাহিমা আক্তার তার মায়ের হত্যার সুষ্ঠ বিচার কামনার পাশাপাশি হত্যাকারী সৎবাবা রাসেল মিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
শাহানাজ বেগম উপজেলার জানকিপুর এলাকার কাঠ মিস্ত্রি দরিদ্র বিষু মিয়ার মেয়ে ও গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার মজিবর মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রি রাসেলের স্ত্রী ছিলেন।
উল্লেখ্য, রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চন্দ্রকোণা ইউনিয়নের জানকিপুর এলাকা থেকে বাহির দিয়ে তালাবদ্ধ ঘর থেকে শাহানাজের মরদেহ উদ্ধার করে নকলা থানার পুলিশ।
জানা গেছে, প্রায় ৯ বছর আগে জানকিপুর এলাকার মানিক মিয়ার সঙ্গে শাহানাজের প্রথম বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় ৭ বছর পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর শাহানাজ বেগম প্রায় দুই বছর আগে গাজীপুরে পোশাক তৈরীর এক কারখানায় চাকরি নেন। চাকরির সুবাধে শ্রীপুরের মজিবরের ছেলে রাসেলের বাড়িতে সে ভাড়া থাকতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং রাসেলের সঙ্গে শাহানাজের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দ্বিতীয় বিয়ের এক বছর পর তারা জানকিপুরে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
রবিবার সকালে ঘরের বাইরে থেকে তালা দেয়া দেখে বাড়ির অন্যান্যরা ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের মেঝেতে শাহানাজের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ খবর পেয়ে শাহানাজের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, নিহতের মা লাকী বেগম মেয়ের জামাতা রাসেলের বিরুদ্ধে মেয়ে শাহানাজকে হত্যা করার অভিযোগ এনে নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পলাতক রাসেলকে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। রাসেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে। পরে যথাযথ আইন মোতাবেক পরবর্তী বিচার কাজ চলবে বলে এএসপি মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান।