শেরপুরের নকলায় এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা-২০২২ এর প্রকাশিত ফলাফলের তথ্য মতে উপজেলায় গড় পাশের হার ৯০%। নকলা উপজেলায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ২৯২ জন। ৪৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাশ করেছে মাত্র ২ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ২ হাজার ৩০১ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশনেয়। এরমধ্যে ২৮৪ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ সহ মোট ২ হাজার ৯৯ জন কৃতকার্য হয়। ফলে উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৯১.২২%।
অন্যদিকে উপজেলার ২০ টি মাদ্রাসা হতে ৫৪৯ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশনেয়। এরমধ্যে ১০ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ সহ মোট ৪৬৬ জন কৃতকার্য হয়। ফলে দাখিল পরীক্ষায় পাশের হার দাঁড়ায় ৮৪.৮৮% এ।
উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের ২৯ টি বিদ্যালয় ও ২০ টি মাদ্রাসাসহ মোট ৪৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ কৃতকার্য হতে না পারলেও পাঁচকাহুনিয়া আলিম মাদ্রাসা ও পূর্ব টালকী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশের কৃতিত্ব অর্জন করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ অব্দুর রশিদ কৃতকার্য সকল শিক্ষার্থীদের অভিনন্দনসহ শুভ কামনা জানিয়েছেন। বিশেষ করে যে মাদ্রাসা দুটির পরীক্ষার্থীরা শতভাগ সফলতা অর্জন করে উপজেলার গর্বের জায়গাটি ঠিক রেখেছে। সেইসকল মাদ্রাসার শিক্ষক, মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সদস্য, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন তাঁরা।
উপজেলায় পাশের হার কমার বিষয়ে তথা ফলাফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারন হিসেবে করোনার অতিমারীকে দায়ী করছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ বিষয় ভিত্তিক সহকারী শিক্ষকগন।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, এবারের ফলাফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারন করোনার অতিমারী। করোনার কারনে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান ও তাদের পাঠ গ্রহনে বিশাল বাধার সৃষ্টি হয়েছিলো। অনলাইনে পাঠদান করা হলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা এ্যানড্রয়েট মোবাইলের অভাবে বা কেউ কেউ ইন্টারনেট সংযোগের অভাবে আশানুরূপ সুফল ভোগ করতে পারেনি। তাই ফলাফলে এই বিপর্যয় ঘটেছে বলে তারা মনে করছেন। তবে আগামী পরীক্ষা থেকে উপজেলায় শতভাগ পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জিপিএ-৫ এর হার বাড়বে বলে আশাব্যক্ত করেন স্থানীয় শিক্ষানুরাগীসহ সুশীলজন।