বরেণ্য কবি সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবং পল্লীকন্ঠ প্রতিদিন পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক, শেরপুর প্রেস ক্লাবের সদস্য, কবি সংঘ বাংলাদেশ-এর সভাপতি এবং শেরপুর জেলা বেসিক ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা তালাত মাহমুদের গ্রামের বাড়ির জমি জবরদখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলাধীন চন্দ্র্রকোনা ইউনিয়নের বাছুর আলগা গ্রামের একটি স্বার্থান্বেষী চক্র জমি জবরদখল করে দালান নির্মাণ করার পায়তারা করছে বলে জানা গেছে।
তালাত মাহমুদ পেশাগত কারণে দীর্ঘদিন যাবত গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করেন না, এই সুযোগে স্বার্থান্বেষী চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে তালাত মাহমুদ জানান।
তালাত মাহমুদের দায়েরকৃত কাগজপত্র মোতাবেক জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে তাঁর বাড়ির দক্ষিণে অবস্থিত বাছুর আলগা মৌজার ৯৩৮ নং দাগে ৪০ শতক জমির উত্তরের সীমায় প্রশস্ত পাড় নির্মাণ করে উভয় পাশে নানা জাতের বৃক্ষের চারা রোপন করেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই কে বা কারা পাড়ের উত্তর পাশের চারাগুলো উপড়ে ফেলে এবং পাড়টি কাটতে কাটতে মাটির সাথে মিশিয়ে ফেলে।
চলতি বছরের শুরুতে তালাত মাহমুদের ভাতিজা তৌহিদুজ্জামান কিবরিয়া মাছচাষের জন্য জমিতে খনন কাজ চালান এবং জমির সঠিক সীমা নির্ধারণ না করেই পাড় বাধেন। ফলে কিছু জমি পাড়ের বাইরে থেকে যায়। দীর্ঘদিন পর কবি ও সাংবাদিক তালাত মাহমুদ বাড়িতে গেলে বিষয়টি তাঁর নজরে আসে। তিনি উক্ত জমি মেপে বুঝপ্রবোধ করে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
কিন্তু ১৯ নভেম্বর শনিবার মাহবুবুল আলম রানা ও এহসানুল আলম (শাহিন) উভয় পিতা মৃত একেএম ফয়েজুর রহমান, সাং বাছুর আলগা, ডাকঘর- চন্দ্রকোনা, উপজেলা- নকলা, জেলা শেরপুর; তারা দুইভাই পরস্পর যোগসাজশে তাদের কাগজপত্র হীন সামান্য জমির সাথে পাড়ের বাইরে থাকা সাংবাদিক তালাত মাহমুদের জমিতে মাটি ভরাট করে ঘর তোলার উদ্যোগ নেয়।
তালাত মাহমুদ শেরপুর থেকে বাড়ি গেলে বিষয়টি তাঁর গোচরিভূত হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি গৃহ নির্মাণে বাধা প্রদান করেন। এতে উত্তেজিত হয়ে মাহবুবুল আলম (রানা) ও এহসানুল আলম (শাহিন) তাঁর সাথে অশোভন আচরণ শুরু করে। তালাত মাহমুদ তাদেরকে বলেন, সিটে তোমাদের যতটুকু জমি আছে তাতে তোমরা ঘর তুলো, আমার জমি জবরদখল করছো কেন? এতে তারা আরো উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং তাকে নানা ভাবে হুমকি প্রদর্শন করে। এমতাবস্থায় সরকারের অফিস আদেশ ‘কাগজ যার জমি তার’ এর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে মানসম্মানের ভয়ে তালাত মাহমুদ ওই স্থান ত্যাগ করে চলে আসেন।
অথচ ‘কাগজ যার জমি তার’ এই আইনকে উপেক্ষা করে মাহবুবুল আলম (রানা) গং সাংবাদিক তালাত মাহমুদের নামে রেজিস্ট্রিকৃত ছয় শতক জমি জবরদখল করে রেখেছে। এব্যাপারে নকলা থানায একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।