নিউমোনিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে সারা দেশের ন্যায় শেরপুরের নকলায় বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে সচেতনতামূলক র্যালি করা হয়েছে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) সকালে ‘নিউমোনিয়া এফেক্টস এভরিওয়ান’ অর্থাৎ ‘নিউমোনিয়া সবাইকে আক্রান্ত করে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে র্যালিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শুরু হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা-এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত র্যালির অগ্রভাগে আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান, সার্জারী কনসালটেন্ট ডা. জহিরুল ইসলাম, ডা. আইরিন জাহান প্রীতি, ডা. মনিরা ইয়াসমিন মিনি, ওয়ার্ড ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স লাভলি বেগম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে নার্স সুপারভাইজার রিনা বেগম, মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট সরোয়ার হোসেন, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (রেডিও) মো. জুলফিকার আলী, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারটের নাজিম উদ্দিনসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের রেসপিরেটরি বিভাগ ও বিভিন্ন সংগঠন সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি পালন করে। এ দিন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে চিকিৎসক, নার্স ও রোগীদের নিয়ে শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই নিউমোনিয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। নিউমোনিয়া প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে স্টপ নিউমোনিয়া। এ সংস্থার তথ্যমতে, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুমৃত্যুর একক বৃহত্তম কারণ নিউমোনিয়া। বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ৩৬১ জন শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। প্রতিদিন গড়ে ৬৮ জন ও বছরে ২৪ হাজার ৮২০ শিশু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
গ্লোবাল কোয়ালিশনের উদ্যোগে ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয় বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস পালন। দ্য গ্লোবাল কোয়ালিশন অ্যাগেইনস্ট চাইল্ডহুড নিউমোনিয়া হলো আন্তর্জাতিক, সরকারি, বেসরকারি এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক সংস্থা, গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান, ফাউন্ডেশন এবং ব্যক্তিদের একটি নেটওয়ার্ক। যখন প্রথম বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস চালু করা হয়েছিল, তখন নিউমোনিয়া প্রতি বছর প্রায় ১২ লাখ শিশু মারা যেতো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে নিউমোনিয়া চিকিৎসায় সম্প্রসারিত টিকাসহ নানা কর্মসূচি থাকলেও বায়ুদূষণ, অসচেতনতা, নিরাপদ পানির সংকট ও অপুষ্টি এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ফুফফুস সংক্রমণজনিত রোগ নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই নিউমোনিয়ার ঝুঁকি কমাতে জনসচেতনতা জরুরি বলে অনেকে মনে করছেন।