সেরা কমিউনিটি রেজিস্ট্রেশন-২০২২ এ বিভাগীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলাধীন পাঠাকাটা ইউনিয়নের চকপাঠাকাটা কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি)।
এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লক-এ দ্বিতীয় তলায় অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ-এঁর সভাপতিত্বে জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সার সংক্রান্ত তথ্য ও ফলাফল প্রকাশ এবং পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
এতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন, বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, চিকিৎসকগন ও কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সেরা কমিউনিটি রেজিস্ট্রেশন-২০২২ এ বিভাগীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান অধিকারের পুরস্কার গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য, নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, চকপাঠাকাটা কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি)-এর কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) লুৎফুন্নাহার মিনু।
সিএইচসিপি লুৎফুন্নাহার মিনু বিভাগীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করায় তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নির্বাচক মন্ডলীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তাছাড়া যে বা যারা তার কাজে উৎসাহ উদ্দিপনা দিয়ে এই অর্জনে সহায়তা করছেন তাদেরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
সেরা কমিউনিটি রেজিস্ট্রেশন-২০২২ এ বিভাগীয় পর্যায়ে নকলার একটি কমিউনিটি ক্লিনিক তৃতীয় স্থান অধিকার করার বিষয়ে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, এই পুরষ্কার প্রাপ্তিতে একদিকে যেমন উৎসাহ বেড়েছে, অন্যদিকে সকল কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)-রাও অনুপ্রেরণিত হলেন। এই পুরস্কার তাদেরর কাজের প্রতি দায়িত্ববোধ আরো বাড়িয়ে দিলো বলে তিনি মনে করেন।
শেরপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য এবিষয়ে জানান, এটি শুধু নকলার চকপাঠাকাটা সিসির প্রাপ্তি নয়। এটি নকলা উপজেলা ও শেরপুর জেলার প্রাপ্তি বটে। আগামীতে শেরপুরের স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগন তাদের কাজের মাধ্যমে আরো ভালো উপহার নিয়ে আসতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।