শেরপুরের নকলা উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে মো. উছমান আলী নির্বাচিত হয়েছেন। গোপন ভোটের মাধ্যমে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নবনির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান উছমান আলী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ও মোজার বাজার এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে।
প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার রাতে বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাচিত ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ও ৯ জন ইউপি সদস্যদসহ মোট ১২ জনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মো. উছমান আলী ৭ ভোট পেয়ে বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম ও একমাত্র প্রতিদ্বন্ধী মো. বাবুল মিয়া পেয়েছেন ৫ ভোট।
ভোট গ্রহন কালে বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাফিজুল হক, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লিটন সরকারসহ ইউপি’র নির্বাচিত সকল সদস্য ও গ্রাম পুলিশগন, বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর জনগন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত বলেন, আমার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকলেও, আমি ভোটাধিকার প্রয়োগ করিনি। সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ সদস্যদের মোট ১২ ভোটের মধ্যে মো. উছমান আলী ২ ভোট বেশি পান। আমার ভোটটি উছমান আলীকে দিলে সে ৩ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হতো, আর বাবুল মিয়াকে দিলে সে পেতেন ৬ ভোট। তাতেও মো. উছমান আলী ১ ভোটের ব্যাবধানে নির্বাচিত হতেন। তাই আমার ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রয়োজন হয়নি। তবে ১২ ভোটের মধ্যে তারা দুইজন সমান সমান ভোট পেলে, সেক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যানের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা জরুরি ছিলো বলে তিনি জানান।
গোপনে ভোট গ্রহন করা ও ফলাফল নাদেখে আগেই ইউপি চেয়ারম্যান ভোটাধিকার প্রয়োগ না করায়, কারো সাথে কোন প্রকার মন খারাপ করে থাকার সুযোগ নেই; তাই এমন প্রতিটি ক্ষেত্রে এভাবেই মনোনিত করা উচিত বলে অনেকে মনে করেন।