শেরপুরের নকলায় একই এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে জুলফিকার (১৯) নামে কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে।
কথিত ধর্ষক জুলফিকার উপজেলার গনপদ্দী ইউনিয়নের গজারিয়া (কিংকরপুর পূর্বপাড়া) এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পাঁচকাহনিয়া টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার উনিশ বছর বয়সী স্বামী পরিত্যক্তা ওই মেয়ে নিজে থানায় হাজির হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০২০) এর ৯(১) ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতেই জুলফিকারকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে কিছুদিন আগে তালাক প্রাপ্ত হয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলো। তার বাবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায়, তার মা সেখানে চলে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে জুলফিকার ওই মেয়ের শয়ন কক্ষে ডুকে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে।
এবিষয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই মেয়েটি স্বামী পরিত্যক্তা হওয়া ও একই এলাকার ধর্ষকের বয়সও ১৯ বছর হওয়ায় এলাকাবাসীর অনেকে বলছেন, বিয়ের পূর্ব থেকেই তাদের মধ্যে প্রেম বিষয়ক কোন ঘটনা থাকতে পারে। তাছাড়া মেয়ের বাড়িতে কেউ নেই এটা জুলফিকার জানলো কেমনে? এমনকি রাত ৭টার সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটলো, অথচ মেয়েটি ডাক-চিৎকার কেন করলোনা? এমন রহস্যজনক প্রশ্নও মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মেয়ের পক্ষ থেকে বিয়ের চাপ দেওয়ায় এবং জুলফিকার রাজি না হওয়ায় কৌশলে তাকে ফাঁসানো হয়ে থাকতে পারে বলে অনেকে ধারনা করছেন। তবে পুলিশি তদন্তে বিষয়টির আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে বলে সুশীলজন মনে করছেন। ঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে অপরাধীর কঠিন শাস্তির দাবীও জানান তারা।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান থানায় মামলার বিষয় ও অভিযুক্তকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলছে।