১৩ বছর আগেও বাংলাদেশ ছিলো অন্ধকারাচ্ছন্ন, বিশ্ব দরবারে পরিচিত ছিলো পিছিয়ে পড়া ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবে। আর এখন বাংলাদেশ শিক্ষার আলোয় আলোকিত ও প্রযুক্তিগত দিকে থেকে অনেক উন্নত।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি এলাকার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর নারী ফ্রিল্যান্সার তৃষ্ণা দিও-এর সেন্টার পরিদর্শন শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে। অন্তত আগামী ২০৪১ সাল পর্যন্ত জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এঁর ভিশন বাস্তবায়ন চলমান রাখা যায়, তাহলে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ।
শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই এমন মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে আগুন সন্ত্রাস করেছে দেশ বিরোধী চক্রান্তকারীরা। দেশদ্রোহী রাজাকারদের থেকে দেশকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা ধৈর্য ও সাহসীকতার সঙ্গে সন্ত্রাস মোকাবেলা করেছেন। করোনা অতিমারীর কারনে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক যে মন্দা তৈরি হয়েছে, এই সংকট মোকাবেলা করে বাংলাদশেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। দেশ ও জাতির কল্যাণে শেখ হাসিনার বিকল্প চিন্তা কেউ করতে পারেন না, বিকল্প চিন্তা করার কথাও নয়। আওয়ামী লীগ সরকার ধৈর্য ও সাহসীকতার সঙ্গে সব কিছু মোকাবেলা করে জনকল্যাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আর তাইতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও করোনা প্রতিরোধে সারা পৃথিবীর মধ্যে পঞ্চম সফল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাপি সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি নারী ফ্রিল্যান্সার তৃষ্ণা দিও-এর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কথারচ্ছলে বলেন, ‘সবাইতো সারাজীবন এমপি, মন্ত্রী থাকেন না। তদ্রুপ আমিও যখন মন্ত্রীত্ব ছাড়া হয়ে যাব বা সংসদ সদস্য হিসেবে থাকবো না, তখন অবসরে ফ্রিল্যান্সার হবো।‘ চাকরির পিছনে দৌঁড়িয়ে সময় নষ্ট না করে, ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রতি শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুবনারীদের উদ্বুদ্ধ করতে এমন কথা বলেন তিনি।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা মাননীয় প্রতিমন্ত্রীকে মুকুট ও উত্তরীয় পরিয়ে সম্মানিত করেন। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফ্রিল্যান্সার তৃষ্ণা দিও-এর হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি ল্যাপটপ উপহার হিসেবে তুলে দেন।
পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মরণে নির্মিত সোহাগপুর বিধবা পল্লীতে শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁদের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সেখানে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। পরে সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।
এসময় ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের মহা-পরিচালক গোলাম মোস্তফা, জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানসহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভার মেয়র, উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত স্থানীয় সাংবদিক, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।