শেরপুরের নকলায় ধর্মীয়ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করা হয়েছে। জশ্নে জুলুসে ঈদে-মলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি গুলোর মধ্যে শোভাযাত্র, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল উল্লেখযোগ্য।
রোববার ১২ রবিউল আওয়াল (৯ অক্টোবর) দুপুরের দিকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ নকলা উপজেলা শাখার আয়োজনে শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্র ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রাটি বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ মঞ্চের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্ব সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ মঞ্চে খেলাফত প্রাপ্ত নামা কৈয়াকুড়ী দরবার শরীফের পীর শাহ্ সূফি ফকির ছামাদ শাহ্ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠত হয়। পীরজাদা ক্বারী ফিরোজ আহাম্মেদ এর তত্বাবধানে এবং দরবার শরীফের ভক্তবৃন্দ ও এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ভক্তবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন এবং এদের মধ্যে পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফিরোজ মিয়াসহ অনেকে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
এদিন রাতে উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামা কৈয়াকুড়ী দরবার শরীফে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে ভক্তবৃন্দের ক্বালবে জিকির জারি করতে, সত্যের স্বাক্ষাৎ ও প্রকৃত বায়াত এর আত্ম উপলব্ধি পাওয়ার আশায় এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন দরবার শরীফের পীর শাহ্ সূফি ফকির ছামাদ শাহ্। এসময় দরবার শরীফের হাজারো ভক্তবৃন্দ, এলাকাবাসী ও বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর জনগন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে আরবের মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। ৬৩ বছর বয়সে তিনি শাহাদৎ বরণ করেন। হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ দিনটিকেই ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা। এদিন বাংলাদেশে সরকারি ছুটি থাকে।