শেরপুরের নকলা উপজেলায় দুই দিন ব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরাধীন নকলা উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষন কর্মশালাটি ৯ অক্টোবর রোববার বিকেল পর্যন্ত চলবে।
এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৩০ জন কৃষক-কৃষাণীকে বসতবাড়িতে বছরব্যাপী মৌসুম ভিত্তিক নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদন কৌশলের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
দুই দিন ব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঢাকা খামার বাড়ির পরিচালক (সরেজমিন উইং) কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আশরাফ উদ্দিন, শেরপুর খামার বাড়ির উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুলতান আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ।
কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, এ প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহনকারী ৩০ কৃষক-কৃষাণীকে প্রশিক্ষণ শেষে অন্তত ৭ ধরনের শাক-সবজির বীজ বিনামূলে প্রদান করা হবে। যেসকল শাক-সবজির বীজ প্রদান করা হবে সেগুলো হলো- লাল শাক, গিমা কলমি শাক, বরবটি, করলা, মূলা, বেগুন ও ঢেরস। তবে অতিথিবৃন্দ প্রশিক্ষণ সমাপনের দিন উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা কম থাকায় তাঁরা কয়েক জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে শাক-সবজির বীজ বিতরণ করেছেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তাসহ উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ৩০ প্রশিক্ষনার্থী কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনের মাধ্যমে বছরব্যাপী কিভাবে মৌসুম ভিত্তিক নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদন করা কৌশলের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাছাড়া এ অঞ্চলে শাক-সবজিসহ কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষক-কৃষাণীদের প্রয়োজনীয় ও সার্বিক পরামর্শ প্রদানসহ কৃষক ও কৃষি অফিসারদের করণিয় বিষয়ক আলোচনাও করা হবে বলে জানান কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ।