শেরপুুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম হিরার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জেলা-উপজেলার প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে আটক করেছে শেরপুর সদর থানার পুলিশ। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের নয়ানীবাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় হামলাকারীরা সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হিরার কাছে থাকা আইফোন ১৩ মডেলের একটি মোবাইল সেটসহ নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় বলে হিরা জানান।
জানা গেছে, রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম হিরা নয়ানীবাজারের একটি মশলার দোকানের পাশে মোটরসাইকেল রাখেন। মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে মানিক নামে এক ব্যক্তির সাথে তর্কাতর্কি শুরু হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মানিকসহ সংঘবদ্ধ কয়েকজন সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হিরার উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়।
সাংবাদিকের উপর হামলার খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শহিদুল ইসলাম হিরাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আবারও হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক হিরা নাক-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত আঘাতপ্রাপ্ত হন।
পরে পুলিশ ও সময় টিভির ভিডিও জার্নালিস্ট বাবু চক্রবর্তী আহত সাংবাদিক হিরাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকগন আহত শহিদুল ইসলাম হিরাকে দেখতে জেলা হাসপাতালে ছুটে যান।
টিভি সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হিরার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, সধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু বকর সিদ্দিক জানান, পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।