শেরপুরের নকলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বানেশ্বরদী ইউনিয়নের ডিলার মাফিজুল হকের দোকানের সামনে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ মো. বোরহান উদ্দিন এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
পরে উপজেলার বিভিন্ন ডিলারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দোকান পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ মো. বোরহান উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ।
এসময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস.এম সালাউদ্দিন, খাদ্য গুাদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) জেভিয়ার চিসিমসহ নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকগণ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুবিধাভোগী তথা কার্ডধারী নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস.এম সালাউদ্দিন জানান, চলতি ধাপে উপজেলার ১০ হাজার ৫৮৮ টি পরিবারকে এই সুবিধাভোগীর অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এসকল পরিবারের মাঝে চাল বিক্রি করার সুবিধার্থে উপজেলায় ১৭জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সুবিধাভোগী প্রতিটি পরিবারের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে। সপ্তাহে ৩ দিন চাল বিক্রি কার্যক্রম চালু থাকবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ মো. বোরহান উদ্দিন জানান, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সুবিধাভোগী বাছাইয়ে শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। অধিকতর স্বচ্ছতার জন্য উপকারভোগীদের মূল জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে তালিকা তৈরি করে ও উপজেলা কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পরে চুড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত এ তালিকা অনুযায়ী সুবিধাভোগীদের মাঝে বরাবরের ন্যায় চাল বিতরণ কাজ শুরু করা হয়েছে।
চাল বিতরণে স্বচ্ছতার প্রশ্নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ জানান, অনিয়ম ঠেকিয়ে সুষ্ঠভাবে চাল বিতরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। সরকারের এই মহতী কার্যক্রমকে সফলতার সহিত সম্পন্ন করতে শক্তিসালী পরিদর্শনকারী টিম রয়েছে। তৎপর রয়েছে প্রশাসনসহ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। কমিটি চাড়াও আমাদের সকল কর্মকর্তা এ মনিটরিং এ নিয়োজিত থাকবেন। এক্ষেত্রে কোন ব্যত্যয় ঘটলে কাউকে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা বলে ইউএনও বুলবুল আহমেদ জানান। সাধারণত একই পরিবার থেকে একাধিক ব্যক্তি যেন এ সুবিধা ভোগ করতে না পারেন, এ স্বচ্ছতা যাচাইয়ে জন্য বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের ট্যাগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।