আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে শেরপুর জেলার জন্য দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি।
শনিবার সন্ধ্যায় গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিন-এঁর সরকারি বাসভবন (গণভবন)-এ বসা মনোনয়ন বোর্ডের সভায় জেলা পরিষদের দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত তালিকা মনোনয়ন বোর্ড।
মনোনয়ন বোর্ডের ওই তালিকা মোতাবেক জানা গেছে, এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে দ্বিতীয় দফায় মনোনীত করা হয়েছে। মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল।
এই সংবাদ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশের পরে শনিবার রাতে শহরের চকবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে শুভেচ্ছা জানাতে দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড় জমে। এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও সরকার দলীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ মনোনয়ন বোর্ডের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সেইসাথে তিনি প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রার্থী চন্দন কুমার পালকে বিজয়ী করতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তিনি।
এছাড়া দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালও লীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ মনোনয়ন বোর্ডের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাকে নির্বাচিত করতে জনপ্রতিনিধি ভোটারসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান। এসময় জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এবার শেরপুর থেকে গত নির্বাচনে পরাজিত এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, গত নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী সদ্য বিদায়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নাসরিন রহমান ফাতেমা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (মোটরসাইকেল প্রতীক) হুমায়ুন কবীর রুমান ৫৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল (নৌকা প্রতীক) পেয়েছিলেন ১৭৬ ভোট। ২৮ ডিসেম্বর (বুধবার) বিকেলে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা ডা. এএম পারভেজ রহিম ওই ফলাফল ঘোষণা করেন।