শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় খেলার বিকল্প নেই। তাছাড়া একঘেয়েমী দূর করতে যেকোন খেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা হতে পারে বাড়ির বাইরে (মাঠে) বা ভিতরে (ঘরে) খেলার মতো উপযোগী যেকোন বৈধ খেলা।
তবে দেশি-বিদেশি খেলার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য থাকলেও সব ধরনের খেলাই বেশ উপকারী। খেলা সবাই পছন্দ করলেও, সুস্থ-পরিচ্ছন্ন দেহ ও প্রফূল্ল মনের প্রতিটি মানুষ খেলতে পছন্দ করে। তবে খেলা সবাই পছন্দ করলেও, সাংবাদিকদের খেলার সময়-সুযোগ সাধারণত হয়ে উঠেনা।
সাংবাদিকদের সারাদিন (সকাল-সন্ধ্যা) বিভিন্ন সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করা, খবর লেখা ও সংশ্লিষ্ঠ গনমাধ্যমের অফিসে তা প্রেরণ করায় ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। বিশেষ করে জেলার নকলা পৌরসভাটি দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভা হওয়ায়, শহরের ভিতরেতো নেই-ই, শহরের কাছাকাছিও নেই কোনো উন্মুক্ত খেলার মাঠ। ফলে শত ব্যস্ততার মাঝে সাংবাদিকদের বাড়ির বাইরে মাঠের খেলা গুলোতে অংশ গ্রহণ করা খুবই কঠিন।
এসব বিবেচনায় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী “নকলা প্রেস ক্লাব”-এর সাংবাদিকদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা রক্ষায় এবং একঘেয়েমী দূর করার জন্য প্রেস ক্লাবে আনা হয়েছে বিভিন্ন ইনডোর গেমসের সরঞ্জমাধি। প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের জন্য আনা ইনডোর গেমসের সরঞ্জমাধি গুলোর মধ্যে দাবা, লুডু ও ক্যারাম বোর্ড উল্লেখযোগ্য।
এরমধ্যে দাবা খেলাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারন, দাবা একটি বিশ্ব নন্দিত ও জনপ্রিয় খেলা। এটি সাদাকালো ঘর করা একটি বোর্ডের ওপরে রেখে খেলা হয়। এই খেলা দু’জনে মিলে খেলতে হয়। একে-অপরের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটাতে এই দাবা খেলার জুড়ি নেই। খেলাটি মোটামুটি প্রতিপক্ষের সঙ্গে এক ধরনের যুদ্ধ করার সামিল। অর্থাৎ প্রতিপক্ষের গুটিগুলোকে কৌশলে মেরে ফেলে রাজাকে আক্রমণ করা। এটি অনেক বুদ্ধিদীপ্ত একটি খেলা। যখন এ খেলাটি খেলা হয়, তখন খেলোয়াড়দের মধ্যে বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। ফলে তারা কৌশলী হয়। যা একজন সাংবাদিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বুধবার (৩১ আগস্ট) রাতে দাবা ও লুডু বোর্ড আনার পরেই জমে উঠে দাবা খেলার প্রতিযোগিতা। উদ্বোধনী দিনের প্রতিযোগিতায় প্রথম ও প্রীতি ম্যাচে (বোর্ডে) প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর হোসেনের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে (বোর্ডে) সহসভাপতি খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর হোসেনের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়।
রাত হওয়ায় ও বৃষ্টি আরম্ভ হওয়ায় অন্যান্য সাংবাদিকগন ক্লাবে আসতে পারেননি। তবে আগামী কাল বিকেল থেকেই দাবা, লুডু ও ক্যারাম বোর্ড খেলায় সড়গরম হয়ে উঠবে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দ্বিতীয তলায় ঐতিহ্যবাহী “নকলা প্রেস ক্লাব”-এর অফিস; এমনটাই মনে করেছন ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
খেলা দেখতে ও খেলায় অংশ গ্রহন করতে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকসহ ক্লাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগন।
উল্লেখ্য যে, সাংবাদিকসহ সর্ব সাধারণের জন্য সাংবাদিকতার বিষয়সহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে এবং বই পড়ে সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে নকলা প্রেস ক্লাবে এরই মধ্যে “বঙ্গবন্ধু বুক কর্ণার” নামে একটি লাইব্রেরী স্থাপন করা হয়েছে।