শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নিজামুল ইসলাম মারা গেছেন, ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজামুল ইসলাম উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পাঁচকাহুনিয়া পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল গণি সরকারের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাত ৮:৫৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজামুল ইসলাম শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে দশটার সময় মরহুমের গ্রামের বাড়ির আঙ্গিনায় পুলিশের একটি চৌকস দলের গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। এসময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ, নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় সাংবাদিকগন, উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন, এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর মুসলিম জনগন উপস্থিত ছিলেন। যানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে মরদেহ কবরস্থ করা হয়। মরহুমের ভাতিজা কবি প্রভাষক তারেক আহসান মৃত্যুর সত্যতা ও সকল বিবরণ নিশ্চিত করেছেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) অনুযায়ী মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর ৮ মাস ১৬ দিন। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। নকলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের অফিস সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নিজামুল ইসলামের লাল মুক্তিবার্তা তালিকা নম্বর ০১১৪০৩০০৮৬, গেজেট তালিকা নম্বর ১০৩৩।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজামুল ইসলামের মৃত্যুতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ তালুকদার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম হিরু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, পৌরসভার মেয়র মো. হাফিজুর রহমান লিটন, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান, নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ ও উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগনসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর অনেকে আলাদাভাবে শোক প্রকাশের পাশাপাশি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।