গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের উপসচিব সায়েমা শাহীন সুলতানা বলেছেন, পরিবারের পরেই নিজের কর্মস্থলকে সুন্দর ও পরিবেশ বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলা উচিত। বিশেষ করে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ অবশ্যই শিক্ষা বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলাতে হবে। নতুবা শিক্ষার্থীরা নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত হাজির হওয়ার প্রতি আগ্রহ কমতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে শেরপুর জেলার নকলা পৌরসভাধীন ধুকুড়িয়া এ-জেড টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের চারতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপসচিব সায়েমা শাহীন সুলতানা এসব কথা বলেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে উপসচিব আরো বলেন, যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ যত বেশি সুন্দর, সেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের হাজির হওয়ার আগ্রহও তত বেশি। তবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবকিছু সুন্দর ও পাঠ দান-গ্রহনের জন্য পরিবেশ বান্ধব হিসেবে গড়তে হলে সবার সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
ধুকুড়িয়া এ-জেড টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. রেজাউল আলম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক শাহ্ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, শহীদ সোহ্ওয়ার্দী কলেজের ইংরেজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর এবাদুল হক ভূঁঞা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, আইডিয়াল টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ সুলতানা নূরুন্নাহার, ধনাকুশা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মুনসুর আলী ও ধুকুড়িয়া এ-জেড টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য এস.এম মনিরুজ্জামান।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে স্থানীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জরিফ হোসেন, জামিয়া আরাবিয়া মাস্তুরা ক্বাওমী মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ক্বারী আব্দুল জলিল, ঠিকাদার শাকিল মাহমুদ সম্রাট, নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-আমিন, সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা ও স্থানীয় মো. হুমায়ূন কবীরসহ ধুকুড়িয়া এ-জেড টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক-কর্মচারী, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, চারতলা এই ভবনের এক তলার কাজ সম্পন্ন করতে প্রাকল্পিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা। আর এই ভবনের নির্মান কাজের দায়িত্ব পেয়েছে শেরপুরের মেসার্স জিলানী এন্টার প্রাইজ।