জীবনে লেখক হওয়ার বাসনা ছিলো। স্কুলজীবন থেকেই গল্প লেখা, আর ছবি আঁকার হাতও ছিলো পাকা। ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়াকালেই তৎকালীণ পত্র-পত্রিকায় ছোটদের পাতায় নিজের লেখা গল্প, আঁকা ছবি প্রকাশিত হতে দেখে উৎসাহ বেড়ে যায়। একপর্যায়ে তাঁর লেখরূপকথার একটি গল্পের বইও প্রকাশিত হয়। লেখালেখির সূত্রে তার এক বন্ধুর জোড়াজুড়িতে জড়িয়ে যান সাংবাদিকতায়।
স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই সেই যে শুরু আজও জড়িয়ে আছেন তৃণমুল সাংবাদিকতায়। পঞ্চাশ বছরে পদার্পন করা সাংবাদিকতায় এই একাশি বছর বয়সেও শেরপুরের সুশীল মালাকার এখনও নিয়ম করে ছুটে যান গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, তুলে ধরেন মানুষের সুখ-দুঃখ, সংগ্রাম, সমস্যা-সম্ভাবনা আর উন্নয়ন-পরিবর্তনের চিত্র। এতে ঘুরে গেছে অনেকের ভাগ্যের চাকা, নির্মাণ হয়েছে অনেক স্থাপনা, নতুন স্বপ্নে বিভোর হয়েছেন অনেকেই। সমাধান হয়েছে অনেক সমস্যার, পরিবর্তন ঘটেছে আর্থ-সামাজিক অবস্থার। সাংবাদিকতার দায়বদ্ধতা থেকে অত্যন্ত সততা আর নিষ্টার সাথে আজোবধি বস্তনিষ্ট সংবাদ-প্রতিবেদন তৈরীতে নিজেকে সচেষ্ট রেখেছেন। আর তারই স্বীকৃতি হিসেবে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার শেরপুর প্রতিনিধি সুশীল মালাকার তৃণমুল সাংবাদিকতায় পেলেন বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২২।
গত ৩০ মে (সোমবার) সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় আইসিসিবি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিক সুশীল মালাকারের হাতে তৃণমুলের গুনী সাংবাদিক সম্মাননাপত্র, সম্মাননা স্মারক ও উত্তরিয় পড়িয়ে দেওয়ার সাথে নগদ এক লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। একইসাথে সেদিন অনুসন্ধানী প্রতিবেদনর জন্য ১১ জন সাংবাদিককে বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২২ এবং ৬৪ জেলার ৬৪ জন তৃণমুলের গুনী প্রবীন সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পুরষ্কার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২২ আয়োজক কমিরি চেয়ারম্যান বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম, জুরিবোর্ডের প্রধান আজকের পত্রিকা সম্পাদক ড. গোলাম রহমান রতন প্রমুখ।
শেরপুর শহরের মুন্সীবাজার এলাকার বাসিন্দা স্বর্ণশিল্পী মনিকার প্রয়াত সুরেশ মালাকার ও স্বর্গীয় নীরদা সুন্দরী মালাকারের সন্তান সুশীল মালাকারের ছোটকাল থেকেই লেখালেখির শখ ছিলো। ছোটবেলা থেকেই তাদের পরিবারে পত্রিকা পড়ার প্রচলন ছিলো। সুশীল মালাকারও লেখাপাড়ার পাশাপাশি নিয়মিত পত্রিকার পড়তেন এবং প্রতিসপ্তাহে ছোটদের জন্য যে পাতাটি নিধারিত ছিলো সেটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তেন। তখন দৈনিক সংবাদে খেলাঘর আসর, দৈনিক আজাদের মুকুলের মাহফিল, দৈনিক ইত্তেফাকের ককিাঁচার আসর তার কাছে খুব প্রিয় ছিলো। এসব পাতায় যেসব গল্প কবিতা প্রবন্ধ প্রকাশিত হতো তা তিনি মনোযোগ দিয়ে পড়তেন। এছাড়াও তার ছবি আঁকার নেশা ছিলো প্রবল। তিনি যখন ষষ্ঠশ্রেণীর ছাত্র তখন দৈনিক আজাদের মুকুলের মাহফিলে তার প্রথম লেখা ‘স্বপ্ন যদি সত্যি হতো’ প্রকাশিত হয়। এতে তার আগ্রহ বেড়ে যায়। তারপর তার বহু লেখা দৈনিক সংবাদ, মিল্লাত, আজাদ ও দৈনিক ইত্তেফাকের ছোটদের পাতায় প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিক ইত্তেফাকের কচিকাঁচার আসরে তার আঁকা কয়েকটি ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৬৩ সালে ঢাকার পাটুয়াটুলী রোডে অবস্থিত সিটি পাবলিশার্স থেকে ‘পদ্মাবতীর গল্প’ নামে তার একটি রূপকথার বইও ছাপা হয়েছিলো। তখনকার দিনে সেই বইয়ের জন্য তিনি ১৫০ টাকা রয়্যালিটি পেয়েছিলেন। লেখক হওয়ার জন্য যখন নিজেকে তৈরী করছিলেন, নিয়মিত গল্প লিখে পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিনে পাঠাচ্ছিলেন এর মধ্যেই যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি পরিবারের সাথে চলে যান ভারতে। স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে পৈত্রিক ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন এবং স্বর্ণশিল্পী হিসেবে হাতের কাজ শিখে ফেলেন।
১৯৭০ সালে শেরপুর সরকারি কলেজ থেকে স্নতক সম্পন্ন করা সুশীল মালাকার ব্যবসার সঙ্গে লেখক হিসেবেও নিজেকে পরিচিতিরকথা ভেবেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৩ সালে তার বন্ধু তৎকালীণ ছাত্রলীগ নেতা আমজাদ হোসেন জোর করে তাকে দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর কাছে নিয়ে গিয়ে ইত্তেফাকের শেরপুর সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ পাইয়ে দেন। সেইথেকে সাংবাদিকতার পথচলা, যা আজও বিদ্যমান রয়েছে এবং অদ্যাবধি তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে সুনামের সাথে সাংবাদিকতা করে চলেছেন। দৈনিক ইত্তেফাকের পাশাপাশি ১৯৮২ সন থেকে ১৯৯৪ সন পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনের জামালপুর ও শেরপুর সংবাদদাতা হিসেবেও কাজ করেছেন।অধুনা বিলুপ্ত সাপ্তহিত চিত্রালী ও পূর্বাণীতে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন।
নিজের পেশাগত জীবনের আলাপচারিতায় সাংবাদিক সুশীল মালাকার বলেন, ১৯৭৪ সনে বন্যা ও মন্ম^ন্তরের ঢেউ শেরপুরেও লেগেছিলো। খাবারের অভাবে বহুলোকমারা গেছেন। দাফন করার জন্যে মৃত সন্তান কাঁধে নিয়ে ভিক্ষা করতে, বাবা-মা’কে সন্তান রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যেতেও দেখেছি। সেসব খবর আমি পত্রিকায় পাঠিয়েছি। ছাপাও হয়েছে। কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবে এবং আমার কোনো ক্যামেরা না থাকায় সেসবের চিত্র আমি ধারণ করতে পারিনি। তবে আমি সংবাদ সংগ্রহের জন্যে প্রতি শুক্রবার সাইকেল নিয়ে গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বেড়াতাম। পরবর্তীতে নিজে মোটর সাইকেল কিনে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে বেড়িয়েছেন। তিনি গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষ, পেশাজীবী, কৃষকদের সাথে কথা বলে সংবাদ, ফিচার তৈরী করতেন। তার অনেক সংবাদ/ফিচার দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। তিনি খবরের সন্ধানে এখনও পরিকল্পনা করে মাঠে-ঘাটে ছুটে চলেন।
শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো.শরিফুর রহমান বলেন, সুশীল মালাকার শেরপুরের সাংবাদিকদের নিকট একজন ‘আইডল’। এখনও তিনি তারণ্যের প্রতীক হয়ে নতুনদের অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শেরপুরের সাংবাদিকদের কাছে একটি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সংবাদিকতায় অনন্য উচ্চতার আসনে অধিষ্ঠিত রয়েছেন বর্ষিয়ান এই সাংবাদিক।
সাংবাদিক সুশীল মালাকারের সাথে কথা বলে জানা যায়, শেরপুরের পাহাড়ি অঞ্চলকে ঘিরে পর্যটনের যে জেলা ব্র্যান্ডিং তার সূচনা হয় মুলত: ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশকে ঘিরে। সেই পাহাড়ি টিলা-ঝরণা বেষ্টিত গজনী এলাকায় পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে এরশাদ সরকারের আমলে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রথম ফিচার প্রকাশ করেন। যার প্রেক্ষিতে তৎকালীণ বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুস সাত্তার সরেজমিনে এলাকাটি পরিদর্শন করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তৎকালীণ জেলা প্রশাসক আতাউর রহমান মজুমদার ‘গজনী অবকাশ’ পর্যটন কেন্দ্র চালু করেন। যা আজ দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে।
১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর পর চরম খাদ্যাভাব দেখা দেয়। সেসময় ঝিনাইগাতীতে অভাবের তাড়নায় গ্রামের এক মা তার শিশু সন্তানকে বিক্রী করে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে তার লেখা সংবাদ দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতায় প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। এনিয়ে তিনি তৎকালীন সরকার এবং প্রশাসনের রোষানলে পড়েন। কিন্তু তৎকালীণ খাদ্যমন্ত্রী ঘটনাটির সরেজমিন তদন্ত করে সংবাদটির সত্যতা পাওয়ায় তিনি হয়রানির কবল থেকে রক্ষা পান।
তখনও শেরপুর জেলা হয়নি। ১৯৮২ সালে জামালপুর জেলার ৩জন বেকার শিক্ষিত যুবককে নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। যারা বাইসাইকেলের পেডেলের সাথে বাঁশ সংযুক্ত করে বাঁশকে পাইপ হিসেবে ব্যবহার করে পুকুর, নদী, খাল থেকে পানি তুলে সেচ দেওয়ার স্থানীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছিলেন। সেই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বেকার তিন যুবককে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি সরকারী চাকুরী দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবেদন লেখার ফলে তাদের উচ্চশিক্ষা লাভের পথ সুগম হয়। ২০১৭ সালে নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী এলাকার দরিদ্র রিক্সাচালক রমজান আলীর তিন মেধাবী সন্তানকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে ওই পরিবারটির সহায়তায় একটি অটোরিক্সা কিনে দেওয়া সহ অদ্যাবধি প্রতিমাসে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে দরিদ্র ওই তিন শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার পথ সুগম হয়েছে। সুশীল মালাকারের হাতে লেখা এরকম আরো অনেক মানবিকপ্রতিবেদন অসংখ্য মানুষকে, পরিবারকে সামনে এগুনোর শক্তি-সাহস যুগিয়েছে।
একবার বিঘাপ্রতি ধানের ফলন নিয়ে সরকারের কৃষি বিভাগ এবং পরিসংখ্যান বিভাগের মধ্যে তথ্যের ব্যাপক ফারাক দেখা দেয়। কৃষি বিভাগ যেখানে স্থানীয়ভাবে ধানের বিঘাপ্রতি গড়ফলন ১৮ মণ দেখিয়েছিলো, সেখানে পরিসংখ্যান বিভাগ একই ধানের গড় ফলন দেখিয়েছিলো বিঘাপ্রতি ১২ মণ। এনিয়ে অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশের পর কৃষি কর্মকর্তাকে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে তাৎক্ষনিক প্রত্যাহার করে তার বিরুদ্ধে বিভাগী শাস্তিমুলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিলো।
ঝিনাইগাতীর গাড়েকোনা এলাকার এক নারী কৃষানী ভারতের আসাম থেকে শাড়ীর আঁচলে ৩টি সীমের বীচি এনে নিজের বাড়ীর আঙিনায় চাষ করার পর ভালো ফলন পাওয়া যায়। এরপর ওই নারীর নিকট থেকে বীজ নিয়ে অন্যরাও সেই নতুন জাতের সীম আবাদ করতে থাকেন। একপর্যায়ে পুরো গাড়োকোনা এলাকায় ওই সীমের আবাদ ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে ‘তিনটি সীমের বীচি পাল্টে দিলো জীবনধারা’ শিরোনামে ১৯৯৭ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে শেরপুরের তিন উপজেলার পাহাড়ি জনপদ সহ দেশের বিভিন্ন স্থালে ওই সীমের আবাদ শুরু হলে কৃষি অর্থনীতিতে এক নতুন ধারার সৃষ্টি হয়। এভাবেই শুরু থেকে মানুষের কল্যাণে নিজেকে তৃণমুল সাংবাদিকতায় নিবেদিত রেখেছেন সুশীল মালাকার।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি সম্পাদনা করেছেন হাতেলেখা পত্রিকা ‘কিশোর’ প্রকাশিত সংখ্যা ১০টি (১৯৬০), ‘দখিনা’ ১ সংখ্যা, ‘প্রবাহ’ ৪ সংখ্যা (১৯৭২-১৯৭৬), বোধন ১ সংখ্যা। এছাড়া শিশু-কিশোর সংগঠন বৈতালিক কচিকাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শেরপুর সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। শেরপুর জেলা প্রেসক্লাব (অধুনা বিলুপ্ত) এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি প্রগতিশীল সামাজিক সংগঠন সাংবাদিক বিপ্লবী রবি নিয়োগী সভাকক্ষ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি শেরপুর জেলা ইউনিটের আজীবন সদস্য। দীর্ঘকাল বাংলা একাডেমীর সাধারণ সদস্য ছিলেন।
সুশীল মালাকার বলেন,সাংবাদিকতার জীবনে আমার প্রবেশ অনেকটাই আকস্মিক ভাবে ঘটেছে। কোনোদিন ভাবিনি যে একদিন আমি খণ্ডকালীন মফঃস্বল সংবাদকর্মী হিসেবে পরিচিতি পাবো।ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া তথা বসুন্ধরা গ্রুপ মফঃস্বল সাংবাদিকদের যে সম্মননা জানিয়েছে তার জন্য তাদের অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধার আহমেদ আকবর সোবহান এবং এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সাংবাদিক সুশীল মালাকার বসুন্ধরা মিডিয়াঅ্যাওয়ার্ড ২০২২ তৃণমুলের গুনী সাংবাদিক সম্মাননা পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহ মো. নুরুল ইসলাম হিরো, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, খেলাঘর জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু, সাংবাদিক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম বাদল, সাংবাদিক বিপ্লবী রবি নিয়োগী সভাকক্ষ পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল, নালিতাবাড়ী ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ হাকাম হীরা, জনউদ্যোগ শেরপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, নালিতাবাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল মান্নান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ আলাদা ভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়া শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি’র কেন্দ্রিয় কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর জনগন অভিনন্দন জানিয়েছেন।