ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রদলের সশস্ত্র হামলা এবং বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য ও উষ্কানিমূলক স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নকলা উপজেলা শাখার নেতা-কর্মীরা।
সোমবার (৩০ মে) বিকেলে নকলা প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নকলা উপজেলা শাখার আহবায়ক আবু হামযা কনকের নেতৃত্বে এ মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহিম মোস্তফা, শোয়েব মাহমুদ রিশাদ, মাহফুজুল ইসলাম ও সদস্য কামরান হাসান রাব্বী, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাব্বিনূর রহমান জুয়েল, সহ-সম্পাদক আরেফিন আহাম্মেদ সরকার, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অনিক কুমার রায় জয়, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ফোরকান আহাম্মেদ শ্রাবণ, উপ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক তাসনিমুল হাসান নির্ভীক প্রমুখ। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদসহ উপজেলা ও জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন, পৌরসভা, ওয়ার্ড ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু হামযা কনক বলেন, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য ও উষ্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে যারা ধৃষ্ঠতা দেখিয়েছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রদলের সশস্ত্র হামলাকারীদেরকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করবে এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে বলে হুশিয়ারী দেন।
যুগ্ম আহবায়ক শোয়েব মাহমুদ রিশাদ, সদস্য কামরান হাসান রাব্বীসহ অন্যান্য বক্তারা বলেন, কিছুদিন ধরে অছাত্র ও কিছু আদুভাইদের সংগঠন ছাত্রদলের নতুন কমিটি হওয়ার পর তারা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা শুরু করেছে। ছাত্রদল সভাপতি কিছুদিন আগে ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য ও উষ্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইমোশনে আঘাত করেছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী তাঁর সাধিত উন্নয়ন ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণেই প্রথম বর্ষ থেকে সকল শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে অবস্থান করেন। শিক্ষার্থীদের মনে কষ্ট দিয়ে বিভিন্ন ধরণের কথাবার্তা ছড়িয়ে তারা ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। কিন্তু ছাত্রলীগ খুব সতর্কতার সহিত মাঠে আছে। অতএব ছাত্রদলের এমন ন্যাক্কারজনক ইচ্ছা একটি ব্যর্থ চেষ্টায় পরিনত হয়েছে বলে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা মনে করছেন।