দেশের শিক্ষকগন প্রায় দুই বছর ঘরে বসে ছিলেন, ঘরে বসে থেকে বেতন নিয়েছেন। কিন্তু এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলে দেওয়া হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কাটিয়ে নিতে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়াসহ বিভিন্ন ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা বেগম।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রভাবে অতিমারী দেখা দিয়েছিলো। এর হাত থেকে রক্ষা পায়নি আমাদের দেশও। তাই অতিমারী হ্রাস করতে ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ধাপে ধাপে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিলো।
এখন সংক্রমণের হার কমে প্রায় শূণ্যের কোঠায় নেমে আসায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলে দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত পাঠদান শুরু হতে না হতেই শুরু হয়ে যায় রমজান মাস। চলমান রমজানে স্বাভাবিক কারনেই পাঠদান রুটিন সংক্ষিপ্ত করা হয়; কমিয়ে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার চাপ। ফলে করোনা কালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সমস্যা থেকেই যায়। তাই রমজানের পরে যেন শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কাটিয়ে নিতে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়াসহ বিভিন্ন ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়; এমন পরমর্শ দেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর তাসলিমা বেগম রিতা।
বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের (এডহক কমিটি)-এর প্রথম সভা শেষে সকল শিক্ষকগনের উদ্দেশ্যে শিক্ষার উন্নয়ন মূলক এ পরামর্শ দেন প্রফেসর তাসলিমা বেগম। এসময় মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম, গনপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নাজমুল ইসলাম,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জুব্বার, সহকারী শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা-গবেষণা পরিষদ নকলা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোশারফ হোসাইন, সহকারী শিক্ষক মোসাম্মৎ রোকেয়া আক্তার, মাহবুব হোসাইন রুপম, শওকত আলী, নুসরাত জাহান নিপা, ফাহমিদা আহম্মেদ তনু, সহকারী মৌলভী মাওলানা মো. ফজলুল করিম ও ফুলেছা খাতুন, সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দিন, তাহেরা সুলতানা, কব্দুল হোসেন, ইয়াছিন আহাম্মেদ, আমিন মিয়া, আরিফ হোসেন, লাবনী বেগম ও উজ্জল মিয়াসহ মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন উপজেলার গনপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের (এডহক কমিটি)-এর প্রথম সভাতেও তিনি সভাপতি হিসেবে অংশ গ্রহন করেন।