প্রতিটি উপজেলায় সরকারি ভাবে গণগ্রন্থাগার স্থাপন জরুরি
যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত; এটা আমরা সবাই জানি ও মানি। তবে শিক্ষিত বলতে শুধুমাত্র পাঠ্য পুস্তক কেন্দ্রিক শিক্ষাকে বুঝানো হয়নি। পাঠ্য পুস্তকের পাশাপাশি ভালো সুশীল, চিন্তাশীল লেখকের জাতীয়, আন্তর্জাতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখা বই থেকে জ্ঞান অর্জন করা জরুরি।
তবেই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা আমাদের জন্য আরও সহজ হবে। তাই বর্তমান প্রজন্মের তরুণসহ আমাদের সকলের ভালো ভালো লেখেকের বই পড়ার অভ্যাস গড়েতোলা উচিত। আর এই সুযোগ সৃষ্টির একমাত্র মাধ্যম সরকারি ভাবে স্থাপন করা গণগ্রন্থাগার। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, দেশে পর্যাপ্ত গণগ্রন্থাগার না থাকায় আজকের তরুণরাসহ আমরা সকলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ফলে চাকরির পরীক্ষা থেকে শুরু করে সৃজণশীল বিভিন্ন পরীক্ষায় পিছিয়ে থাকতে হচ্ছে।
উচ্চ শিক্ষায় সনদদারী শিক্ষিত হয়েও থাকতে হচ্ছে বেকার। বর্তমান ও আগামী দিনের বিশাল জনগোষ্ঠীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হিসেবে গড়েতোলতে ও বেকার সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় সরকারি উদ্যোগে গণগ্রন্থাগার স্থাপন করলে জাতি বেশ উপকৃত হবে বলে মনে করছি।
তাছাড়া ব্যস্ততম এইযুগে কর্মজীবী অবসরে থাকা শিক্ষিত জনগোষ্ঠিকে শেষ বয়সে অনেকটাই একাকিত্ব জীবন যাপন করতে হয়। প্রতিটি উপজেলায় সরকারি ভাবে গণগ্রন্থাগার স্থাপিত হলে তাঁরা যখনই ভালো নালাগবে তখনই গ্রন্থাগারে গিয়ে বই পড়ে সময় অতিবাহিত করতে পারবেন। দিনের অধিকাংশ সময় গণগ্রন্থাগারে অতিবাহিত করায় তাঁরা একদিকে অবসরে থাকা কর্মহীন জীবনের চাপা যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবেন, অন্যদিকে কিছুটা হলেও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের চাপ কমবে।
এমতাবস্থায় দেশের প্রতিটি উপজেলা বা থানায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় গণগ্রন্থাগার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
-মো. মোশারফ হোসাইন
শিক্ষক ও সাংবাদিক
নকলা, শেরপুর