শেরপুর জেলা নকলা উপজেলার পৌর শহরের বাদাগৈড় এলাকার চৌধুরী ছবরুন নেছা মহিলা কলেজে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্ণারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরেরদিকে চৌধুরী ছবরুন নেছা মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে শেরপুর জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ এ বঙ্গবন্ধু কর্ণারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আম্বিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, সহসভাপতি ও চৌধুরী ছবরুন নেছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নকলা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান ও জেলা পরিষদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, নকলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উমর ফারুক, নকলা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রবসহ চৌধুরী ছবরুন নেছা মহিলা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ চৌধুরী ছবরুন নেছা মহিলা কলেজে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্ণার ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন এবং এই কর্ণারকে আরও সমবৃদ্ধ করতে কলেজের সংশ্লিষ্টদের পরামর্শদেন তাঁরা।
এই কর্ণারে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, ভাষা আন্দোলন, মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাসসহ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মুল্যমান অনেক বই রয়েছে। এসব বই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
এই কর্ণারের মাধ্যমে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ দেশে ঘটে যাওয়া ভাষা আন্দোলন, মুক্তি যুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস ঐতিহ্যসহ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ও মুল্যমান তথ্য সম্পর্কে জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়ার স্থান খোঁজে পেয়েছেন বলে মনে করেন অনেক শিক্ষানুরাগী।