বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নকলায় জরায়ুর মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্যাম্পেইন বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা ভাগ্নার জন্মদিন উপলক্ষে ২০২০ সালে লেখা সদ্য প্রয়াত মার্জেনা চৌধুরী’র কবিতা ঘুরে বেড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায় নকলা প্রেসক্লাব পরিবারের পূজামন্ডপ পরিদর্শন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় নকলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে ফাহিম চৌধুরীর শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় আর্থিক অনুদান প্রদান নকলায় বন্যাক্রান্ত পূজামন্ডপে পূজা উদযাপন পরিষদের সহায়তা প্রদান নকলা-নালিতাবাড়ীর বন্যার্তদের পাশে প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরী নকলা ও ফুলপুরের বন্যার্তদের পাশে নকলার সিনিয়র-জুনিয়র বন্ধুমহল শেরপুরে বন্যার্তদের পাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী : সর্বমহলে প্রশংসা নকলার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ৩ শতাধিক বন্যার্তের মাঝে খাবার বিতরণ নকলায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র‌্যালী আলোচনা সভা

নকলায় বিদেশি ২০ জাতের বীজআলুর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে

মো. মোশারফ হোসাইন:
  • প্রকাশের সময় | মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২
  • ৪৪১ বার পঠিত

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর আওতায় রোপনকৃত উচ্চ ফলনশীল এবং শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও বিদেশে রপ্তানী যোগ্য উচ্চ ফলনশীল ২০ জাতের বীজ গোলআলুর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরের দিকে বিএডিসি হিমাগার নকলার বাস্তবায়নে এবং বিএডিসি’র মানসম্পন্ন বীজআলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী গ্রামের বিএডিসি’র চুক্তিবদ্ধ কৃষক মো. শামসুজ্জামান জুয়েলের বাড়ির আঙ্গীনায় ২০২১-২২ উৎপাদন মৌসুমে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও মাল্টি লোকেশন পারফরমেন্স যাচাইয়ের এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

বিএডিসি নকলা হিমাগারের উপপরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের শেরপুর খামার বাড়ির উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে।

বিএডিসি হিমাগার নকলার উপসহকারী পরিচালক (টিসি) মো. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ, বিএআরআইএস শেরপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান, বিএডিসি শেরপুরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (বীবি) কৃষিবিদ মো. দিদারুল আমীন. বিএডিসি শেরপুরের সহকারী পরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ মো. ফেরদৌস আহম্মেদ।

এছাড়া অন্যান্যদের বিএডিসি ও কৃষি সম্প্রসারণের সার, বীজ ও কীটনাশক ডিলার মো. আমিনুল ইসলাম ও কৃষ্ণ কান্তি রায়সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

এসময় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহামুদুল হাসান মুসা ও কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মনি, সার, বীজ ও কীটনাশক ডিলার খন্দকার শহিদুল ইসলাম গোড়া মিয়া, নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিগন, উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন, বিএডিসি’র চুক্তিবদ্ধ কৃষকগনসহ স্থানীয় শতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।

বিএডিসি হিমাগার নকলার অফিসের দেওয়া তথ্যমতে জানা গেছে, বিএডিসি হিমাগার নকলার বাস্তবায়নে ২০২১-২২ উৎপাদন মৌসুমে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও মাল্টি লোকেশন পারফরমেন্স যাচাইয়ের জন্য উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী গ্রামের কৃষক মো. শামসুজ্জামান জুয়েলের ২ একর জমিতে প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে বীজ উৎপাদনের জন্য ২০টি উচ্চ ফলমশীল বিদেশী উন্নত জাতের আলু পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হয়েছিল।

উচ্চ ফলনশীল এবং শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও রপ্তানী যোগ্য জাতগুলো হলো- বারি আলু-৩৫, বারি আলু-৩৭, বারি আলু-৪১, বারি আলু-৭৯, আডাটো, সান্তানা, টুইনার, সানসাইন, ফন্টেইন, এডিসন, এস্টারিক্স, ডোনাটা, এভারেস্ট, ক্যারোলাস, গ্র্যানোলা, এলুইটি, প্রিমাভেরা, অ্যালকেন্ডার, মিউজিকা ও ডায়মন্ট।

এসব বীজ আলুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফলন হয়েছে সানসাইন জাতের আলু, প্রতি হেক্টরে এই আলুর ফলন পাওয়া গেছে ৪১.৭০ মেট্রিকটন; ফলন উৎপাদনের দিকে বিবেচনায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সান্তানা জাতের আলু, প্রতি হেক্টরে এ আলুর ফলন পাওয়া গেছে ৩৭.৭০ মেট্রিকটন; তৃতীয় স্থানে রয়েছে এলুইটি জাতের আলু, এই বীজআলু প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ৩৬.৩৮ মেট্রিকটন; উৎপাদনের দিকে চতুর্থ স্থানে ধরে রেখেছে বারি আলু-৭৯ জাত, এ আলুর প্রতি হেক্টরে উৎপাদন পাওয়া গেছে ৩৫.১৮ মেট্রিকটন; ফলন উৎপাদনের দিকে বিবেচনায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে বারি আলু-৪১, যার প্রতি হেক্টরে উৎপাদন পাওয়া গেছে ৩৫.১৭ মেট্রিকটন এবং সবচেয়ে কম উৎপাদনের স্থানে তথা ২০তম স্থানে রয়েছে অ্যালকেন্ডার জাত, এই জাতের আলুর উৎপাদন পাওয়া গেছে প্রতি হেক্টরে ২১.৬৭ মেট্রিকটন।

উৎপাদনের দিক বিবেচনায় আগামী বছর থেকে উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় সানসাইন, সান্তানা, এলুইটি, বারি আলু-৭৯ ও বারি আলু-৪১ জাতের আলু বেশির দিকে কৃষকরা ঝুঁকবেন বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগন।

বিএডিসি-এর কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এ অঞ্চলের মাটি আলু চাষের অনুকুলে হওয়ায় বিএডিসি’র বীজআলু উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। বিএডিসি-এর বিভিন্ন স্তরের কৃষি কর্মকর্তা ও বিএডিসির স্থানীয় চুক্তিবদ্ধ আলু চাষীরা আশা করছেন আগামীতে এ অঞ্চলে আলুর আবাদ কয়েকগুণ বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।