শেরপুরের নকলায় দেশীয় তৈরী পাইপগান ও বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ জামালপুর জেলার এরশাদ আলী (৩৫) ও আব্দুল জলিল (২২) নামে ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪।
গ্রেফকতারকৃত এরশাদ আলী জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার সভারচর মোজাম্মেল হকের ছেলে এবং আব্দুল জলিল একই এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে এগারোটার দিকে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান’র নেতৃত্বে এবং সহকারী পুলিশ সুপার এম.এম সবুজ রানা’র উপস্থিতিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল নকলায় অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় তৈরী পাইপগান ও বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ জামালপুর জেলার এই ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত জানা গেছে, র্যাবের নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শেরপুর জেলার নকলা থানাধীন পাইস্কা এলাকাস্থ ঢাকা-শেরপুর মহাসড়ক সংলগ্ন দেশ ফিলিং স্টেশনের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় তৈরী পাইপগান, বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও নগদ অর্থ ও মোবাইলসহ জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার সভারচর এলাকার এ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে র্যাব। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে তাদের সাতে থাকা ২টি দেশীয় তৈরী পাইপগান, ২০ কেজি গাঁজা, নগদ ৩ হাজার ৫০০ টাকা, সীমসহ ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করাসহ অস্ত্র ও গাঁজা বহনকারী একটি নীল-হলুদ রংয়ের পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানান, এ বিষয়ে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে নকলা থানায় অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ধৃত আসামী এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে জামালপুর জেলার ইসলামপুর ও মেলান্দাহ থানায় ২টি চুরির মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ শেরপুর জেলার নকলা থানাধীন বিভিন্ন স্থানে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।
বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রান্তিলগ্নে “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশ ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। বিভিন্ন ধরনেল চাঞ্চল্যকর অপরাধের স্বরূপ উৎঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কারণেই এই প্রতিষ্ঠান মানুষের কাছে আস্থা ও নিরাপত্তার অন্য নাম হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, মানব পাচার ও হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে; যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।