শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তব এলাকা থেকে আবারো একটি বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনী আঠার ঝুড়া নামক স্থান থেকে হাতির মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা জানতে পারেন আঠার ঝুড়ায় একটি বন্যহাতির মৃতদেহ পরে আছে। এলাকাটি গভীর অরণ্য হওয়ায় রাতে তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই শনিবার সকাল ১০ টারদিকে বনবিভাগের বালিজুরি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম ও রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দের নেতৃত্বে বন বিভাগের অন্যানরা হাতির মৃতদেহটি উদ্ধার করে। তারা জানান, মৃত হাতিটি মাদি এবং বয়স হয়েছিল আনুমানিক ১০ বছর।
খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জয়নাল আবেদীন, শেরপুর সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ ও ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ উপপরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পরে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ময়না তদন্তের পর মরদেহটি মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. সাদিয়া আফরিন জানান, মৃত হাতিটির দেহে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তারা ধারনা করছেন, ফুটপ্রয়জনিং জনিত কারনে হাতিটির মৃত্যু হতে পারে।
একের পর এক হাতির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রকৃতি ও পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন’র ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মেরাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘শেরপুরের গারো পাহাড়ে একের পর এক হাতির মৃত্যু ও হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এসব বন্যহাতি মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর মূল কারণ উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন সংবাদিক মেরাজ উদ্দিন।