আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধকল্পে জনগণের মাঝে দিনব্যাপী গণটিকা কার্যক্রম চলবে।
যে বা যারা এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯’র প্রথম ডোজের টিকা গ্রহন করেননি, এদিন শুধুমাত্র তাদেরকে প্রথম ডোজের টিকা প্রদান করা হবে।
জনস্বার্থে জারিকৃত এক পরিপত্র মোতাবেক জানা গেছে, এ গণটিকা কার্যক্রমের দিন কারও রেজিষ্ট্রেশন বা নিবন্ধন করা না থাকলেও টিকা গ্রহন করা যাবে; তবে সঠিক নাম ঠিকানা, বয়স ও মোবাইল নম্বর লাগবে।
গুরুত্বপূর্ণ এই কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে শেরপুরের নকলা উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশা-শ্রেণীর জনগনকে নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান-এঁর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদরে চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোছা. আম্বিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, উপজেলা পরিষদরে ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চরঅষ্টধর ইউপির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান ও ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া প্রমুখ।
এসময় উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যগণ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় সাংবাদিকগণ ও বিভিন্ন পেশা-শ্রেণীর জনগন উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি পুরাতন ওয়ার্ডে একটি করে কোভিড-১৯’র ভ্যাকসিন দান কেন্দ্র স্থাপন করার লক্ষ্যে স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রের আওতায় ৩০০ জনতে ভ্যাকসিন দান করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ হিসেব মতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ও পৌর এলাকায় মোট ৯০০টি করে কোভিড-১৯’র ভ্যাকসিন প্রদানের সম্ভাবনা রয়েছে।