শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে একটি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) ভোরে ঝিনাইগাতী থানা সংলগ্ন এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ লাক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দাবি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন স্থানীয় জনগন ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়নাল আবেদীন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাজ্জল হোসেন চাঁন, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. শাহাদৎ হোসেন, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, বণিক সমিতির সদস্য ও নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল হক মনিরসহ অনেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইগাতী থানা সংলগ্ন এলাকার ছাইদুল ইসলামের বাড়ির পুড়ে যাওয়া বসতরে বসবাসকারী সবাই আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় ঘরটি তালাবদ্ধ ছিল। রবিবার ভোরে ওই ঘরে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে পাশ্ববর্তী ঘরে থাকা ছাইদুলের মা ও ভাইয়ের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে ঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ অগ্নিকাণ্ডে ছাইদুলের একটি বসতঘর, ঘরে থাকা দুটি ফ্রিজ, ২টি সেলাই মেশিন, অটো রিক্সা কিনার জন্য ঘরে রাখা নগদ ৫০ হাজার টাকা, অলঙ্কার ও সকল আসবাবপত্রসহ অতি প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন ধারনা করে জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে একটি বসত ঘর ও ঘরে থাকা সকল কিছু পুড়ে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে জানাতে পারেননি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়নাল আবেদীন জানান, আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য সরকারি তরফ থেকে সহায়তা প্রদানের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।