সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন

নতুন শিক্ষা বর্ষে নকলার প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী সরকারি পাঠ্য বই পেয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় | শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫১৬ বার পঠিত

সারা দেশের ন্যায় শেরপুরের নকলা উপজেলার প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক, একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক স্তরের সকল মাদ্রাসায় নতুন শিক্ষা বর্ষ ২০২২ সালের জন্য সরকারি নতুন পাঠ্য বই বিতরণ করা হয়েছে। তবে উপজেলার প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ২০২২ সরকারি নতুন পাঠ্য বই হাতে পেয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ১১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫ হাজার ১৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ লাখ ৯ হাজার ৭২২টি বইয়ের চাহিদাসহ সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কেজি স্কুলের জন্য প্রায় দেড় লাখ বইয়ের চাহিদা সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে দেওয়া হয়েছিলো। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীরা সরকারি নতুন পাঠ্য বই হাতে পেলেও, প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র খাতা হাতে পেয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীসহ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য কোন বই এখনও উপজেলাতে আসেনি বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলাতুননেছা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলাতুননেছা জানান, উপজেলায় বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কেজি স্কুল গুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধেক বইয়ের চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বইয়ের চাহিদা পত্র অনুযায়ী সব বই এখনো তাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। তাই সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে আগে সরকারি নতুন পাঠ্য বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকি বই প্রাপ্তি সাপেক্ষে বই পাওয়ার জন্য সরকারের শর্ত পূরণকারী উপজেলার যোগ্য বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে সরকারি নতুন পাঠ্য বই পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান এ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শাখার ৩০টি বিদ্যালয়ের ২৩ হাজার ৭৪৫ শিক্ষার্থীর জন্য ৩ লাখ ৫২ হাজার ৪৯০টি বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সকল পাঠ্য বই হাতে পেলেও, ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা শুধু মাত্র আইসিটি শিক্ষা এবং নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ আলাদা আলাদা শাখার (বিজ্ঞান, বানিজ্য, মানবিক) বই গুলো হাতে পেয়েছে। বাকি বই এখনও উপজেলাতে আসেনি। নতুন বছরের নতুন বই আসার পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ আরও জানান, দাখিল স্তরের ২০টি মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণীর ৬ হাজার ১৪০ শিক্ষার্থীর জন্য ৮৭ হাজার ৪১০টি বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছিলো; কিন্তু অধিকাংশ বই এখনও উপজেলাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে ইবতেদায়ী শাখার ১০ হাজার ৭৬২ জন শিশু শিক্ষার্থীর জন্য ৭৬ হাজার ৮০৪টি বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয় এবং সকল বই যথা সময়ে উপজেলায় পৌঁছানোতে ১ জানুয়ারি শনিবার সকালে সকল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এর অংশ হিসেবে ঐতিহ্যবাহী বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা মিলনায়তনে সুপার মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বই বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা বেগম ভিডিও কনফারেন্সে বই বিতরণ উৎসব উদ্বোধন করেন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করণিয় বিষয়ক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

এসময় বঙ্গবন্ধু শিক্ষা-গবেষণা পরিষদ নকলা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, সহকারী শিক্ষক মোসাম্মৎ রোকেয়া আক্তার, শওকত আলী, মাহবুব হোসাইন রুপম, নুসরাত জাহান নিপা, সহকারী মৌলভী মাওলানা মো. ফজলুল করিম, মাওলানা মো. রেজাউল করিম, ক্বারী কাজীমদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান খান, জামাল উদ্দিন, কব্দুল হোসেন, আমিন মিয়াসহ সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ইয়াছিন আহাম্মেদ, আরিফ হোসেন, লাবনী বেগম ও উজ্জল মিয়া এবং বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102
error: ভাই, খবর কপি না করে, নিজে লিখতে অভ্যাস করুন।