শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ননগ্রুপ কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও প্রশিক্ষণার্থী কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন শাক-সবজীর বীজ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করে প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন কার হয়।
উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরাধীন নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শুধুমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষক-কৃষাণীরা দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ গ্রহন করেন।
উপজেলাা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর কবীর-এর সভাপতিত্বে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর খামারবাড়ির উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল ও সিনিয়র মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ ওয়াসিফ রহমানসহ নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাগন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রশিক্ষাণার্থী কৃষক-কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাছাড়া এ অঞ্চলে কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষক-কৃষাণীদের প্রয়োজনীয় ও সার্বিক পরামর্শ প্রদানসহ কৃষক ও কৃষি অফিসারদের করণিয় বিষয়ক আলোচনাও করেন তাঁরা।
প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থী প্রতি কৃষক-কৃষাণীর মাঝে অন্তত ৭ প্রকার শাক-সবজীর বীজ প্রদান করা হয়। এ প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষক-কৃষাণীরা একই জমিকে পুনঃপুন ব্যবহারের জন্য স্বল্প জীবনকালীন জাতের ফসল চাষ করার প্রতি উদ্বুদ্ধ হবেন বলে কৃষি কর্মকর্তারা আশাব্যক্ত করেন।