শেরপুরের নকলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যৌথ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৭ নভেম্বর) নকলা পৌর শহরের জালালপুর এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত যৌথ বর্ধিত সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোছা. আম্বিয়া খাতুন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ।
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যৌথ বর্ধিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মুনসুর, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম মাহবুবুল আলম সোহাগ, আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম সোহেলসহ উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতৃবৃন্দ।
বক্তরা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নয়নের প্রতীক নৌকার পক্ষে মাঠে নিরলস কাজ করার আহ্বান জানান। ভোটারদের ধারে ধারে ঘুরে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি সকলের কাছে দোয়া কামনা করার আহবান জানান তাঁরা। বক্তারা বলেন, এ নির্বাচনে কোন ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পরাজিত হলে, তা হবে নকলা উপজেলার আওয়ামী পরিবার তথা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জন্য লজ্জাজনক বিষয়। নকলার মাটি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ঘাটি। অতএব এ উপজেলার কোন ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পরাজয় কারো কাম্য নয় বলে বক্তারা মন্তব্য করেন। তাই দলীয় মনোনয়ন সংক্রান্তসহ অতীতের সকল মনোমালিন্যকে ভুলে গিয়ে হাতে হাত রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করলে গত বারের মতো উপজেলার সকল (৯টি) ইউনিয়নেই বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীকের বিজয় হবে বলে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস। কোন কোন বক্তার বক্তব্যে বুঝাগেছে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন তথা নৌকা প্রতীকটি সঠিক ব্যক্তির হাতে যায়নি। তাই জনমনে বেশ অসন্তোষ রয়েছে।
এ যৌথ বর্ধিত সভায় উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীগন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নৌকাপ্রেমী জনগন ও সধারন ভোটারগন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী পরিবর্তের দাবিতে বিক্ষোপ করেছেন, করেছেন সংবাদ সম্মেলন। তাছাড়া সব কয়টি ইউনিয়নেই বিদ্রোহী ও একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে, বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।