শেরপুর জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোমিনুর রশিদ-এঁর দ্রুত রোগমুক্তি কামনায় নকলা প্রেস ক্লাব-এর আয়োজনে বিশেষ দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করা হয়েছে।
সোমবার (১ নভেম্বর) নকলা প্রেস ক্লাবের অফিস কক্ষে সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন-এর সভাপতিত্বে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুর হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল আমিন, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম রিজন, কার্যকরী সদস্য মোশাররফ হোসেন শ্যামল, সুজন মিয়া ও রাইসুল ইসলাম রিফাত প্রমুখ।
দোয়া পরিচালনা করেন নকলা প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল আমিন। এসময় নকলা প্রেস ক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, শেরপুর জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোমিনুর রশিদ সোমবার বিকেলে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ খবর পেয়ে জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি, শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান নাহিদ চৌধুরীসহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন জেলা প্রশাসক মহোদয়কে দেখতে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
শেরপুরবাসীর সবার প্রিয় ডিসি মো. মোমিনুর রশিদ-এঁর দ্রুত রোগ মুক্তি কামনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে। তাছাড়া সর্ববৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শেরপুর জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোমিনুর রশিদ-এঁর দ্রুত রোগ মুক্তি কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানসহ জেলার সব কয়টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা-উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ সবপেশা শ্রেণীর মানুষ।
চিকিৎসকগন জানিয়েছেন ডিসি মহোদয়কে নিবির পর্যবেক্ষণে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগ নির্ণয়ের জন্য বেশ কিছু পরীক্ষা (টেস্ট) দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার (টেস্টের) রিপোর্ট পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন কার হবে বলে চিকিৎসকগন জানিয়েছেন। তবে তিনি আপাতত ঝুঁকি মুক্ত আছেন বলে বিভিন্ন তথ্যে জানা গেছে।