শেরপুরের নকলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করেন তাঁরা।
এ উপলক্ষে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, মন্ডপ পরিচালনা কমিটি, মন্দির পরিচালনা কমিটি ও সমবেত হিন্দু ধর্মালম্বীদের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাতসহ তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করার পাশাপাশি কয়েকটি মন্ডপ এলাকায় সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভা করা হয়।
এ সভায় বক্তারা শারদীয় দুর্গোৎসবের সার্বিক সাফল্য কামনাসহ মানষকন্যা জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে করার প্রত্যয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের হাতকে আরও শক্তিশালী করার আহবান জানান। তাছাড়া কুমিল্লাতে কোরআন আবমাননা করার বিষয়ে দোষীদের শান্তি কামনা করার পাশপাশি সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাবধানতা অবলম্ভন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারা বলেন, সম্প্রীতির বাংলাদেশে কোন বিভেদ তৈরি হবে না। সবাইকে নিজের বিবেক কাজে লাগিয়ে কথা বলতে ও পথ চলতেন আহবান জানান তাঁরা। তাঁরা বলেন, আমরা সবাই ভাই ভাই, এই সম্পর্ক নিয়েই আমরা ভবিষ্যৎ চলতে চাই। কারো উস্কানি মূলক কথায় কান না দিতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান বক্তারা।
পরিদর্শনকালে ও শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, সহসভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, যুগ্ম সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল হক মুক্তা, দপ্তর সম্পাদক খলিলুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রশিদ সরকারসহ বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যাগন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সোহেল, যুগ্মআহবায়ক এফ.এম কামরুল আলম রঞ্জু ও রেজাউল করিম রিপনসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, সাধারন সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সাংবাদিকগন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, বিভিন্ন মন্ডপ পরিচালনা কমিটি ও মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ, সনাতন ধর্মীয় পূজা মন্ডপের নারী-পুরুষ ভক্তবৃন্দসহ উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংঠনের নেত-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেবৃন্দের দেওয়া ত্যথমতে জানা গেছে, এবার নকলা উপজেলায় ১৯টি মন্ডপে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন হচ্ছে। পূজা মন্ডপ গুলোর মধ্যে পৌরসভা এলাকায় ৪টি, গনপদ্দী ইউনিয়নে ৩টি, নকলা ইউনিয়নে একটি, উরফা ইউনিয়নে ৩টি, বানেশ্বরদী ইউনিয়নে একটি, পাঠাকাটা ইউনিয়নে ২টি, টালকী ইউনিয়নে একটি, চরঅষ্টধর ইউনিয়নে ২টি ও চন্দ্রকোণা ইউনিয়নে ২টি মন্ডপের মাধ্যমে দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে।
প্রতিটি মন্দিরে ও মন্ডপে স্থানীয় স্বেচ্ছা সেবকসহ পুলিশ বিভাগ, টহল পুলিশ, গ্রাম পুলিশ, আনসার সদস্য ও নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।