নালিতাবাড়ী উপজেলার তারাগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম খোকন ও পিয়ন মো. আকাব্বরের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানব বন্ধন করা হয়েছে। তৌহিদুল ইসলাম খোকন নাজমুল স্মৃতি কলেজের সাবেক জি.এস ও ভি.পি এবং নালিতাবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
এ ঘটনায় আকাব্বর বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় তুহিনসহ ও অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ফুসে ওঠেছে নালিতাবাড়ীর শিক্ষক ও ছাত্র সমাজ, প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। বুধবার (৬ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অংশ নেন। অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
জানা গেছে, গত পহেলা অক্টোবর তারাগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উদ্বোধনী খেলা উপভোগ করতে স্কুল ভবনের টিনের চালে ওঠে কিছু লোক হইহুল্লোর শুরু করেন। এতে দূর্ঘটনার ভয়ে লোকজনদেরকে বাধা দেয় ওই স্কুলের পিয়ন আকাব্বর। বাধা দেওয়ার কারনে চালে ওঠা লোকগুলো ক্ষিপ্ত হয়ে আকাব্বরকে বেদম মারপিট শুরু করে। এ সময় শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম খোকন মারামারি ফিরাতে গেলে হামলাকারীরা খোকনকেও বেদম মারপিট করে। হামলাকারীরা তৌহিদুল ইসলাম খোকনের মাথায় ধরালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা খোকন ও আকাব্বরকে গুরুতর আহত অবস্থায় নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শিক্ষক খোকনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত রোববার (৩ অক্টোবর) সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবিতে প্রতিবাদ মানবন্ধন করাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন সহকর্মী শিক্ষক সমাজ।
নালিতাবাড়ী থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, মামলায় একজন আসামি এজাহার ভুক্ত, বাকীগুলো অজ্ঞাত। এজাহার ভুক্ত আসামী তুহিনকেসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলার জাউয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং সৈদেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের উপর সন্ত্রাসী হালরার প্রতিবাদে ৩ অক্টোবর রবিবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে।