শেরপুর জেলার নকলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)-এ আক্রান্ত হয়েছেন। সে বর্তমানে শেরপুর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।
চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ফুসফুসে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে নিয়মিত চিকিৎসায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই তা সেড়ে যাবে বলে চিকিৎসকগন আশা করছেন।
জানা গেছে, ৩০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাউছার আহাম্মেদ-এঁর গায়ে হালকা জ্বর, কাশি ও বুকে সামান্য ব্যথাসহ করোনার বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। পরে তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, তাৎক্ষণিক করোনা ভাইরাসের এন্টিজেন নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এই সংবাদ পেয়ে রাতেই নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল আমিনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীগন ও নকলা উপজেলা ভূমি অফিসের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ তাকে দেখতে শেরপুর সদর হাসপাতালে ছুটে যান।
শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক মো. মুমিনুর রশিদসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান ও উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, নকলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম রিজনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীগন তাঁর খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে যান।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরদিন তথা পহেলা অক্টোবর শুক্রবার করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাস শনান্ত হয়। এখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে তাকে দ্রুত মুক্ত করতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শেরপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসকগন।
এদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ-এঁর দ্রুত রোগমুক্তি জন্য কাউছার আহাম্মেদ নিজে ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সকলের কাছে দোয়া কামান করেছেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহ থেকে নকলার সরকারি বাসভবনে তাঁর সাথে পরিবারের কেউ বসবাস না করায় পরিবারের কাউকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রয়োজন হয়নি।