শেরপুর জেলার সব কয়টি (সদর ৫টি) উপজেলায় এবার ১৫১টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি বিধি নিষেধ মেনে ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব পালনের জন্য বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ১৮ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
শেরপুরে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের দেওয়া তথ্যমতে, জেলার ১৫১টি পূজামণ্ডপের মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলায় ৬৬টি, নালিতাবাড়ীতে ৩৭টি, নকলায় ১৯টি, ঝিনাইগাতীতে ২০ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ৯টি মণ্ডপে পূজা-অর্চনা অনুষ্ঠিত হবে।
‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সম্প্রতি শেরপুরে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সুব্রত কুমার দে-এঁর সভাপতিত্ব এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের গোপাল জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রিয় যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কুমার বল এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রিয় যুব বিষয়ক সম্পাদক ভজ গোপাল দেবনাথ।
এছাড়া আরো বক্তব্য দেন, জেলা পূজা পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রকাশ দত্ত, সহ-সভাপতি যাদব চন্দ্র ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার সাহা, যুগ্ম সম্পাদক নন্দ সাহা, উপদেষ্টা হরিদাস সাহা, জীবন কৃষ্ণ বসু, প্রদীপ রঞ্জন দে, তাপস কুমার সাহা, দিলীপ কুমার পোদ্দার, দেবাশীষ সাহা রায়, দাতা সদস্য অধ্যাপক শিবশঙ্কর কারুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শরণ রায়, নারী বিষয়ক সম্পাদক রমা সাহা, গোপাল জিউর মন্দির কীর্ত্তণ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ সরকার, নকলা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবজিৎ পোদ্দার ঝুমুর, নালিতাবাড়ী উপজেলা কমিটির সভাপতি শিবু দে, সাধারণ সম্পাদক যোগেন চন্দ্র রায়, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাজন সরকার প্রমুখ।
সরকারি বিধি নিষেধ মেনে ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব পালনের লক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ১৮ দফা নির্দেশনাগুলো মেনে পূজা-অর্চনা করার জন্য সকল মন্দির ও পূজামণ্ডপ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।
এসময় জেলা-উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, উপদেষ্টা মণ্ডলী ও সদর উপজেলার সকল দুর্গাপূজা মণ্ডপের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।