শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ষাটোর্ধ সুকুমার রায় জীবনের শেষ প্রান্তে এসে স্বেচ্ছায় নিজের হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পরে মো. শুকুর আলী নাম ধারন করে স্বামী পরিত্যাক্তা এক মুসলিম নারীকে বিয়ে করেছেন।
সে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাঁকাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় একজন ডাকপিয়ন। আগের দিকে তার স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। জীবনে বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তার ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। হিন্দু ধর্মের স্ত্রী ৫ বছর ধরে তার ছেলেদের সাথে থাকেন। তাদের কেউই বৃদ্ধ সুকুমার রায়ের খোঁজ খবর রাখেন না।
দীর্ঘ দিন নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করা অবস্থায় এলাকার মুসলমানদের সহায়তায় সুকুমার রায়কে দিনাতিপাত করতে হয়েছে। মুসলিমদের সৌহার্দপূর্ণ মনোভাব ও সামাজিক রীতি নীতি দেখে সুকুমার রায় স্বশরীরে শেরপুরে নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে হাজির হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ও নিজের নাম মো. শুকুর আলী রাখেন। ফলে সেই সুকুমার রায় হয়ে যান মো. শুকুর আলী।
জানা গেছে, তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করায় স্থানীয় বাসিন্দারা তার নিঃসঙ্গতা দূর করতে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বাঁকাকুড়া গুচ্ছগ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীর সাথে মুসলিম রীতি অনুযায়ী ঘটা করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। আর এ বিয়ের খরচ বহনকরাসহ বরযাত্রীও হন এলাকার মুসলিমরাই।
কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনার উল্লাহর নেতৃত্বে গ্রামবাসিরা এ বিবাহের আয়োজন করে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ধর্মত্যাগী মো. শুকুর আলীর নতুন বৈবাহিক জীবনে সুখ শান্তির জন্য জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন এলাকাবাসী।